scorecardresearch
 

One nation one election: 'এক দেশ, এক নির্বাচন' শীঘ্রই? দেশের কত মানুষ চান? কোবিন্দ কমিটির কাছে ২১ হাজার পরামর্শ

'এক দেশ এক নির্বাচন' বা 'ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন' নিয়ে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সভাপতিত্বে গঠিত কমিটি পেল কয়েক হাজার পরামর্শ। জানা গিয়েছে, জনগণের কাছ থেকে প্রায় ২১ হাজার পরামর্শ এসেছে। এর মধ্যে ৮১ শতাংশ মানুষ একযোগে নির্বাচনের বিষয়ে মত দিয়েছেন।।

Advertisement
One nation one election One nation one election
হাইলাইটস
  • জনগণের কাছ থেকে প্রায় ২১ হাজার পরামর্শ এসেছে
  • এর মধ্যে ৮১ শতাংশ মানুষ একযোগে নির্বাচনের বিষয়ে মত দিয়েছেন

'এক দেশ এক নির্বাচন' বা 'ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন' নিয়ে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সভাপতিত্বে গঠিত কমিটি পেল কয়েক হাজার পরামর্শ। জানা গিয়েছে, জনগণের কাছ থেকে প্রায় ২১ হাজার পরামর্শ এসেছে। এর মধ্যে ৮১ শতাংশ মানুষ একযোগে নির্বাচনের বিষয়ে মত দিয়েছেন।। রবিবার কমিটির দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৪৬টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকেও পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, 'এখনও পর্যন্ত ১৭টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে পরামর্শ পাওয়া গেছে।' কংগ্রেস এবং টিএমসি সহ সমস্ত বিরোধী দল একযোগে নির্বাচন করার বিরোধিতা করেছে।

৫ জানুয়ারি এই কমিটি দেশে একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিদ্যমান আইনি-প্রশাসনিক কাঠামোর যথাযথ পরিবর্তন করার জন্য নাগরিকদের পরামর্শ আমন্ত্রণ চেয়ে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। পিটিআই-এর মতে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে গঠিত কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটি রবিবার তৃতীয় বৈঠক করে। কমিটির রবিবার বলেছে, 'মোট ২০,৯৭২টি প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ৮১ শতাংশ একযোগে নির্বাচনের ধারণাকে সমর্থন করেছে।'

প্যানেলের রবিবারের বৈঠকে রাজ্যসভার প্রাক্তন বিরোধী নেতা গুলাম নবি আজাদ, আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল, ১৫ তম অর্থ কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এন কে সিং, লোকসভার প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সুভাষ সি কাশ্যপ এবং প্রাক্তন মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনার সঞ্জয় কোঠারি উপস্থিত ছিলেন। কমিটি নির্বাচন কমিশনের পরামর্শও নোট করেছে। কমিটির পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী ২৭ জানুয়ারি আবারও বৈঠক হবে। একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে আইন কমিশনের মতামত শুনেছে কমিটি। এ বিষয়ে আবারও আইন প্যানেল ডাকা হতে পারে।

আরও পড়ুন

'এক দেশ এক নির্বাচন' বিষয়টা কী?

বর্তমানে বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা ভোট ও লোকসভা ভোট আলাদা আলাদা সময়ে হয়। 'এক দেশ এক নির্বাচন'-এর বিধি চালু হলে লোকসভা ও বিধানসভার ভোটগ্রহণ একসঙ্গেই হবে। অর্থাৎ সাধারণ মানুষ একটা সময়েই কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দল বেছে নিতে পারবেন।

Advertisement

এর সুবিধা কী কী?

'এক দেশ এক নির্বাচন' বিধি চালু হলে আলাদা আলাদ নির্বাচনের জন্য যে খরচ হয় তা বেঁচে যাবে। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছিল ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে। এর মধ্যে রয়েছে ভোট আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনের খরচ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রচার সংক্রান্ত ব্যয়। আরও একটা সুবিধা হল, সরকারি আধিকারিকদের কর্মক্ষমতা বেড়ে যাবে। বিভিন্ন সময়ে ভোটের কারণে তাঁরা ব্যস্ত থাকেন। তাতে অনেকটা সময় নষ্ট হয়। তার উপরে আদর্শ আচরণ বিধির জন্য থমকে থাকে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পও। এছাড়া আইন কমিশনের মতে, একেবারে লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন হলে ভোটের হারও বেড়ে যাবে। কারণ একবারই ভোট দিতে হবে।

Advertisement