হিমাচল প্রদেশে মৃত্যুমিছিল।-ফাইল ছবিবর্ষা এই বছর ভয়াবহ রূপ নিয়েছে হিমাচল প্রদেশে। গত ২০ দিনে লাগাতার ভারী বৃষ্টিপাত, ধস ও বন্যায় ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৩৪ জন নিখোঁজ এবং অন্তত ১২৯ জন আহত হয়েছেন। মান্ডি জেলায় বিপর্যয় সবচেয়ে বেশি। এই জেলার ৩৯৭টি বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্যজুড়ে ৭৫১টি বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৩৩টি দোকান ও কারখানাও ক্ষতির মুখে পড়েছে, যার মধ্যে ২০৩টি মান্ডিতেই।
সিমলার আবহাওয়া দফতর মান্ডি, হামিরপুর ও সোলান জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে। বৃষ্টির পরিমাণ আগামী দিনেও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সিমলা, কাংড়া, কুল্লু, চাম্বা, লাহৌল-স্পিতি সহ অন্যান্য জেলাতেও বজ্রপাত ও মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের মতে, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, পূর্ব মধ্যপ্রদেশ ও পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ-এর কিছু অংশে অত্যধিক ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। নাগাল্যান্ড, আসাম, মণিপুর-সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতেও জলবন্দি পরিস্থিতি। সেনা চালাচ্ছে ‘অপারেশন জল রাহাত ২’, যার অধীনে এখন পর্যন্ত ৪০টি ত্রাণ দল মোতায়েন। ৩,৮২০ জনকে উদ্ধার। ১,৩৬১টি খাবারের প্যাকেট বিতরণ। ২,০৯৫ জনকে চিকিৎসা সহায়তা। ১৫,৪২১টি জলের বোতল সরবরাহ করা হয়েছে।
হিমাচল থেকে শুরু করে রাজধানী দিল্লি এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির পরিস্থিতি চিন্তার কারণ প্রশাসনের। সর্বত্র বর্ষার তাণ্ডবে বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষ। প্রশাসন ও সেনাবাহিনী ত্রাণে ঝাঁপালেও আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা ইঙ্গিত দিচ্ছে, আগামী কয়েকদিন দুর্যোগের আরও ভোগাবে।