বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরে নিরাপত্তা বাহিনী ও সন্ত্রাসবাদীর মধ্যে একটি সংঘর্ষ চলছে। এই সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত এক সেনা জওয়ান শহিদ হয়েছেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ আজ উধমপুরের বসন্তগড়ে একটি যৌথ অভিযান শুরু করেছে। দু'তরফেই প্রচণ্ড গুলিবর্ষণ চলছে। এই সংঘর্ষটি উধমপুরের দুদুতে ঘটছে। নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসবাদীদের ঘিরে ফেলেছে। সেনাবাহিনীর হোয়াইট নাইট কর্পস জানিয়েছে, গুলির লড়াইয়ে ওই জওয়ান গুরুতর আহত হন এবং পরে তিনি মারা যান।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনী এবং সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে এটি তৃতীয় সংঘর্ষ। এর আগে কাশ্মীরের কুলগামে নিরাপত্তা বাহিনী এবং সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল।
ইতিমধ্যেই পহেলগাঁও হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার স্থানীয় শাখা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলার মূল চক্রী লস্কর নেতা সইফুল্লাহ কাসুরি ও তার দুই পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (PoK)-ভিত্তিক সঙ্গী। হামলার কয়েকদিন আগেই তারা উপত্যকায় ঢোকে বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, ৫ থেকে ৬ জন জঙ্গি এই হামলায় জড়িত।
হামলার তদন্তে ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি তিন সন্দেহভাজন জঙ্গির স্কেচ প্রকাশ করেছে। তারা হল আসিফ ফুজি, সুলেমান শাহ এবং আবু তালহা। এরাই পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে। গুলি চালানো ৫ থেকে ৬ জন সন্ত্রাসবাদীকে খুঁজে বের করার জন্য ব্যাপক তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ ইতিমধ্যেই জড়িত জঙ্গিদের সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার জন্য ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে।