'ভারতের মাটিতে এই প্রথম জি২০ সম্মেলন হচ্ছে। এই অনুষ্ঠান অনেক জায়গায় হয়েছে। কিন্তু ভারত সরকার এই অনুষ্ঠানটিকে নতুন রূপ দিয়েছে। আগে আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানগুলি শুধুমাত্র দিল্লি এবং মুম্বাইতে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন তা পৌঁছে গিয়েছে ছোট ছোট শহরেও। এতে ভারতের সংস্কৃতির প্রসার ঘটবে। আগে এ ধরনের কর্মসূচি শুধুমাত্র উন্নত দেশগুলিতে সীমাবদ্ধ ছিল। ভারত জি২০-র সভাপতিত্ব করছে। তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে প্রতিটি ছোট শহরে।' শনিবার আজতক-এর জি২০ সম্মেলনে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন,'এই ভারত এখন বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে। এদেশে মানুষকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হয়েছে। যা ভারতে তৈরি। ভারতের উন্নত প্রযুক্তির কারণে কোভিড পোর্টালে তাৎক্ষণিক শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। যা সমাদৃত হয়েছে গোটা বিশ্বে।'জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া আরও বলেন, 'ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সময়, আমরা অপারেশন গঙ্গার অধীনে হাজার হাজার ছেলেমেয়েকে ৯০টি বিমানে দেশে ফিরিয়ে এনেছিলাম। ভারতের ক্রমবর্ধমান শক্তি সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। ভারত এখন শুধু নিজের দেশেই তেরঙা উত্তোলন করছে না,আজ আমাদের দেশ চন্দ্রযান-৩-এর মাধ্যমে চাঁদেও তেরঙা উত্তোলন করছে।'
ভারত কি আন্তর্জাতিক হাব হয়ে উঠবে? ভারতে কি আন্তর্জাতিক উড়ান ওঠানামা করতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তরে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন,'আজ ভারতের বিমান পরিষেবা দ্রুত এগিয়ে চলেছে। ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশে ৬ কোটি অভ্যন্তরীণ যাত্রী ছিল। সেখানে ২০২৩ সালে এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪.৫ কোটি। এ সবে শুরু। ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যাও ৪২ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। দেশের মানুষ যখন বিমানে বেশি ভ্রমণ করবেন, তখন অবশ্যই দেশ উন্নতি করবে। আন্তর্জাতিক বিশ্বেও এর সুফল আমরা পাব। দেশের এভিয়েশন সেক্টর এখন আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী হয়েছে। দিল্লি বিমানবন্দর হবে প্রথম হাব যেখানে আন্তর্জাতিক উড়ান ওঠানামা করবে। আগামী ১০ বছরে এমন ২-৩টি বিমানবন্দর থাকবে যেখানে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলি ওঠানামা করবে। যেমনটা এখন দুবাইতে দেখা যাচ্ছে।'
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রিত্বের প্রশ্নে সিন্ধিয়া বলেন,'মধ্যপ্রদেশের সঙ্গে আমার রক্তের সম্পর্ক। আমি সাংসদ হয়ে কাজ করতে চাই। মন্ত্রিত্ব থাকুক বা না থাকুক, মানুষের সেবা করে যাব। আর মুখ্যমন্ত্রিত্ব চিন্তাভাবনা এবং আদর্শের উপর নির্ভর করে। মানুষের সেবা করার ধারণা আমাদের পরিবারে সবসময়ই ছিল। রাজনীতি করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, সেবা করাই আমাদের লক্ষ্য। রাজনীতি একটা মাধ্যম মাত্র। মানুষের সেবা করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। এখনও করে যাচ্ছি।'