India vs. Bharat: ইন্ডিয়া বনাম ভারত বিতর্কের মাঝে টুইট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিজেপির বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করেছেন তৃণমূল নেতা। অভিষেকের কথায়, এটি মানুষকে বিভ্রান্ত করার প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। বিজেপির পরিকল্পিত এটি। এই সবের পরিবর্তে, তিনি আকাশ ছোঁয়া দাম, ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা, বেকারত্ব, সীমান্ত বিরোধের মতো বড় ইস্যুতে নজর দেওয়ার ডাক দেন। বিজেপির 'ডবল ইঞ্জিন' এবং জাতীয়তাবাদের বার্তার সমালোচনা করে, তিনি এটি 'ফাঁকা আওয়াজ' বলে উল্লেখ করেন৷ #StayFocused হ্যাশট্যাগ দিয়ে তিনি সাধারণ মানুষকে আসল সমস্যাগুলির বিষয়ে সচেতন থাকার বার্তা দেন।
আগামী ১৮-২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশন হবে। আর সেই অধিবেশনেই সরকার ইন্ডিয়া তুলে দিয়ে শুধুমাত্র ভারত নামকরণ করার একটি প্রস্তাব আনতে পারে। অর্থাৎ, অন্য ভাষার পাশাপাশি ইংরাজিতেও দেশের নাম হবে ভারত।
এক সাংবিধানিক সংশোধনীর মাধ্যমে ইন্ডিয়া-র নাম পরিবর্তন করে ভারত নামকরণ করা হতে পারে। সূত্রের খবর, সরকার এই পরিবর্তন কার্যকর করার জন্য একটি রেজোলিউশন পেশ করতে পারে।
INDIA vs BHARAT is just a distraction orchestrated by the BJP. Let's cut to the chase and hold the govt accountable for skyrocketing prices, rampant inflation, communal tensions, unemployment, border disputes and their empty rhetoric of Double Engine and Nationalism. #StayFocused
আরও পড়ুন
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) September 6, 2023
১৫ অগাস্ট, ২০২৩-এ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লাল কেল্লা থেকে তার বক্তৃতার সময়েই এই ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, এই ইন্ডিয়া নামের সঙ্গে ঔপনিবেশিক শাসনের ইতিহাস জড়িয়ে। দেশের নাগরিকদের দাসত্বের প্রতিটি চিহ্ন থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য পাঁচটি অঙ্গীকার করার আহ্বান জানিয়েছিলেন মোদী। এর মাধ্যমে দেশের আদি নামেই বিশ্বজুড়ে পরিচিতি গড়ে তোলার ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে G20 প্রতিনিধিদের জন্য একটি আনুষ্ঠানিক নৈশভোজের আমন্ত্রণ প্রকাশিত হয়। সেখানে 'প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়ার' পরিবর্তে 'প্রেসিডেন্ট অফ ভারত' লেখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর উল্লেখ করা আমন্ত্রণপত্রেও 'প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত' বলে উল্লেখ করা হয়।