অগ্নিপথ স্কিম (Agneepath Recruitment Scheme) নিয়ে এবার সরাসরি কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সোমবার ত্রিপুরায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে অগ্নিবীরদের উদ্দেশ্যে করা বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মন্তব্য প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'মোদী সরকারের এটা প্রচলিত প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে, নোটবন্দি-সিএএ-র মতোই কোনও পরিকল্পনা নেই, যাঁরা বেনিফিশিয়ারি, যাঁরা সামগ্রিকভাবে এই স্কিমে উপকৃত হবেন, তাঁদের কথা না ভেবে ২ দিন অন্তর অন্তর একটা করে পরিবর্তন। যাঁরা ভারতীয় সেনা, আধা সামরিক বাহিনী, কেন্দ্রীয় বাহিনীর আবেগকে সামনে রেখে, নির্বাচনের সময় রাজনৈতির লড়াই না রেখে, তাদের ছবির আড়ালে গিয়ে নির্বাচন লড়ে, তাঁরাই নির্বাচনের পর বলে অগ্নিবীরদের ৪ বছর পর যখন চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে, তারপর বিজেপির দলীয় দফতরে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করবে। এর থেকে লজ্জার আর কী হতে পারে।'
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, 'বিজেপির নেতার ছেলে বিসিসিআই-এর সেক্রেটারি হবেন, যিনি বলেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, তাঁর ছেলে এমএলএ হবেন, ব্যাট নিয়ে আমলাদের মেরে বেড়াবেন, আর সাধারণ মানুষ, গরীব খেটে খাওয়া মানুষের ছেলে ৪ বছর অগ্নিবীর করে বিজেপির অফিসের দারোয়ান হবে। সাধারণ মানুষ জবাব দেবেন। কেন তাঁদের স্বপ্ন দেখার অধিকার নেই? আমার ধিক্কার জানাই। আর বিজেপির যদি নূন্যতম সম্মান থাকে সেনাদের জন্য, ভালবাসা থাকে, তাহলে এরকম সমস্ত নেতা কর্মীদের অবিলম্বে দল থেকে বহিষ্কার করা উচিত। আমাদের দলে কেউ এই মন্তব্য করলে আমার বহিষ্কার করতাম।'
তৃণমূলের সর্বভারীতয় সাধারণ সম্পাদক বিজেপিকে বিঁধে আরও বলেন, বালাকোটকে সামনে রেখে ভোট লড়েছে। অন রেকর্ড বলছি। কেন এখন সেনার দরকার নেই? আবার ২০২৪-এর ৩ মাস আগে দরকার পড়বে নাকি? এই দ্বিচারিতা চলতে পারে না। বিজেপির যদি বোধদয় হয় তবে অবিলম্বে এদের দল থেকে বহিষ্কার করা উচিত ও ভারতের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া উচিত।' একইসঙ্গে প্রতিবাদীদের উদ্দেশ্যে অভিষেকের বার্তা, 'আমাদের দল এই ইস্যুটিকে সমর্থন করে। তবে কোনওভাবেই যেন নৈরাজ্যের পরিবেশ তৈরি না হয়, সেটা সবাইকে সুনিশঅচিত করতে হবে।'
কী বলেছিলেন বিজয়বর্গীয়?
প্রসঙ্গত রবিবার, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অগ্নিবীরদের (Agniveer) প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র (Kailash Vijayvargiya) মন্তব্য, 'কেউ যদি ২১ বছর বয়সে ঢোকেন তাহলে তিনি ২৫ বছর বয়সে বাহিনী ছেড়ে বেরোবেন। ২৫ বছর বয়সে তিনি যখন বাহিনী ছাড়বেন, তখন তাঁর হাতে থাকবে ১১ লক্ষ টাকা। বুকে অগ্নিবীরের তকমা লাগিয়ে তিনি ঘুরতে পারবেন। যে কোনও অফিসে, যদি এই বিজেপি অফিসেই আমাকে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করতে হয়, তাহলে আমি অগ্নিবীরকে অগ্রাধিকার দেব। আপনাদেরও নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করতে হলে তাঁদের অগ্রাধিকার দিতে পারেন।' বিজয়বর্গীয়র এই মন্তব্যকে ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক।
আরও পড়ুন - সাইকেল থেকে পড়ে গেলেন জো বাইডেন, দেখুন VIDEO