Abhishek Banerjee in Agartala: আগরতলায় দাঁড়িয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব (Tripura CM Biplab Deb)-এর তুলোধোনা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC All India General Secretary Abhishek Banerjee)। ২০২৩-এ বিধানসভা ভোটে সেখান থেকে বিজেপি সরকারকে উপড়ে ফেলার ডাক দিলেন তিনি। বাংলার জন্য তৃণমূল কী কাজ করেছে, সেই খতিয়ান তুলে ধরেন।
রবিবার অভিষেক (TMC All India General Secretary Abhishek Banerjee) বলেন, কাল কোর্টে জিতেছি, ২৩-এ ভোটে জিতব। করোনার থেকে বিপজ্জনক ভাইরাস বিজেপি। একটাই ভ্যাক্সিন রয়েছে। তার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম ডোজ ২৫ নভেম্বর, দ্বিতীয় ডোজ ২০২৩-এ।
তিনি বলেন, এখন বিপ্লব দেব বিগ ফ্লপ দেব হয়ে গিয়েছে! ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতা নেই। কালীপুজোর পর আবার আসছি। আবার আটকাবেন, আবার ঢুকব।
We wholeheartedly welcome Shri @RajibBanerjeeWB and sitting @BJP4Tripura MLA Shri Ashish Das, into our Trinamool Congress family.
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) October 31, 2021
Both leaders have joined us today in the presence of our National General Secretary Shri @abhishekaitc, in Tripura.
তিনি বলেন, দুয়ারে গুন্ডাকে দুয়ারে সরকারে পরিণত করতে হবে। যেমন বাংলায় হয়েছে। তলায় তলায় নিঃশব্দ বিপ্লব শুরু হয়ে গিয়েছে।
অভিষেক (TMC All India General Secretary Abhishek Banerjee) বলেন, এত ভয় কীসের! দুয়ারে গুন্ডা এত ভয় কীসের। আমাকে আটাকাতে ত্রিপুরায় ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়েছে। আমি আসব বলে বিধি পাল্টে দিয়েছে। কাউকে ঢুকতে দেবে না! এবার লড়াইয়ের সামনে রয়েছে তৃণমূল। কত ধানে কত চাল। ২০২৩-এর আগে এখানে বসে থাকবে। পারলে আটকে রাখুন। এক ছটাক জমি ভারতীয় জনতা পার্টি আর বিপ্লব দেবকে ছাড়ব না। কাল তো সভা আটকানোর চেষ্টা করেছেন।
তিনি (TMC All India General Secretary Abhishek Banerjee) বলেন, আমি আগামী মাসে আরও ২-৩ বার আসব। আপনার সরকার আমি ভাঙতে চাই না। আপনার ডানদিক থেকে বাঁদিকে যাঁরা ঘোরে, তাঁরা সবাই আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। আমরা সরকার ভাঙার রাজনীতি করি না। ২০২৩-এ আমরা গোহার হারাব।
তিনি বলেন, আমি এক কথার ছেলে। যা বলি, তাই করি। যারা পাপ আজকে করছে, পাঁচ বছর দিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করাব। বাংলায় হলে ত্রিপুরায় হবে না কেন?
এদিন তিনি বলেন, এখানে কর্মসংস্থানের অবস্থা দেখুন। রোজ পার্টি অফিস ভেঙে দেওয়া হলে, সংবাদ মাধ্যমের অফিসে ভেঙে দিলে, এখানে শিল্প হতে পারে? ১০ বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় কী কাজ করেছেন, আর আপনি সাড়ে ৩ বছরে কী কাজ করেছেন, তুলনা করে দেখুন।
ডবল ইঞ্জিন সরকার মডেলের কড়া সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, ডবল ইঞ্জিন মানে এখানেও চুরি করা যাবে, দিল্লিতেও। এর থেকে ভাল সিপিআইএম ছিল। স্বাধীনতাটুকু ছিল। একটা লোক যদি আসেন, হোটেলে রুম দিচ্ছে না।
পুরসভা ভোট লড়বে তৃণমূল, জানিয়ে দিলেন তিনি। এর পাশাপাশি অভিযোগ করেন, সুস্মিতা দেবের ওফর হামলা করা হচ্ছে। কী অবস্তা করেছে রাজ্যটার। এটা সরাতে না পারলে আফগানিস্তানের মতো অবস্থা হবে ত্রিপুরার।