ত্রিপুরা ইস্যুতে অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন তৃণমূল সাংসদরা। ত্রিপুরায় আর হিংসা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন অমিত শাহ, দাবি তৃণমূলের।
আগরতলা পুরনিগম ভোটে যদি মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন তাহলে বিজেপি খাতা খুলতে পারবে না। বিজেপি ৫০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে, তৃণমূল ৫১টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। বললেন অভিষেক।
সিপিএম ও কংগ্রেস বিজেপিকে হারানর ক্ষমতা রাখে না, রাখলে বাড়িতে বসে থাকত না। শাসকদলকে কীভাবে লাইনে আনতে হয় সেটা তৃণমূল কংগ্রেস দেখিয়েছে। এই রাজ্যটা সবার। তাই সবাই এসে তৃণমূলের হাত শক্ত করুন, আহ্বান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
পিপিলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে, বিজেপি তৃণমূলকে ভয় পেয়েছে। সংবাদমাধ্যমে দাবি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
যত গায়ের জোর আছে প্রয়োগ করুন, আপনাকে হারাতে এসেছি। রাজনৈতিকভাবে এক ইঞ্চি জমি ছাড়ব না. জিতে ত্রিপুরা ছাড়ব। আপনার যা জেদ, তারচেয়ে ১০ গুণ জেদ আমাদের। বিপ্লব দেবকে চ্যালেঞ্জ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
ত্রিপুরায় ভাঙার রাজনীতি, জ্বালিয়ে দেওয়ার রাজনীতি চলছে। আমরা গড়ে দাও সাজিয়ে দাওয়ের পক্ষে। আমরা উন্নয়নের পক্ষে। বিপ্লববাবুকে চ্যালেঞ্জ করব, আপনি মানুষের অধিকার হরণ করুন, ল্যআজেগোবরে করে যদি আপনাকে সুপ্রিমকোর্টে না হারাই আমার নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নয়। চ্যালেঞ্জ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এখানে একটা চোর বসে চুরি করছে, ওপরে আরও ২টি চোর চুরি করছে, কেউ কাউকে ধরবে না। তেলের দাম কমিয়েছে কারণ বাংলায় হেরেছে. মন্ত্রিসভায় বদল করেছে, ৩টি রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বদল হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া বিজেপির বিরুদ্ধে আর কেউ নেই। দাবি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
ভারতবর্ষের স্বাধীনতা ১৯৪৭ সালে হয়েছে, কিন্তু ত্রিপুরায় স্বাধীনতা আসেনি। আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিই সেটা রাখি। লক্ষ্মীরভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী চালু হয়েছে, বললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
এই হেলমেট বাহিনী ও বাইক বাহিনীকে যদি দুয়ারে সরকারের ফর্ম ফিল-আপ করাতে না পারি তাহলে আমার নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নয়। হাতে মোদীর ছবি নিয়ে বেরোন, বিজেপি জিন্দাবাদ বলতে বলতে যান, ভিতরে গিয়ে জোড়াফুলের বোতামটা টিপুন। পরামর্শ অভিষেকের।
আপনাদের ভোট যাতে আপনারা দিতে পারেন, আপনাদের ভোট যাতে কেড়ে নিতে না পারে তা নিশ্চিত হবে। মানুষের কাছে আবেদন অভিষেকের।
বিপ্লববাবু এতটাই নির্লজ্জ হয়ে গিয়েছেন যে, আপনি একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, আপনি যে সময়টা বাইক বাহিনী পাঠিয়ে, হেলমেট বাহিনী পাঠিয়ে অত্যাচার করছেন, সেই সময়টা উন্নয়নে দিলে ত্রিপুরার এই অবস্থা হত না। বললেন অভিষেক।
প্রশাসন এলাকার শান্তি সম্প্রীতি সংহতি রক্ষা করছেন না। আপনারা যেটা করছেন তাতে ত্রিপুরাতে ৫০ বছর পিছিয়ে দিচ্ছেন। রাজ্যটাকে কারও কথা কারও পৈত্রিক সম্পত্তিভেবে যা ইচ্ছে তাই করা বন্ধ করুন। যে ঘটনা ঘটেছে তা যেন ভবিষ্যতে না ঘটে। প্রশাসন যেন বিরোধীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ত্রিপুরায় এমন পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে যা সারা ভারতবর্ষের মানুষ কোনওদিন দেখেনি। সহিংস দমনপীড়নে নিজেদের রেকর্ড নিজেরা ভাঙছে। ত্রিপুরায় সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
BSF ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর কথা বলতে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'BSF আমার শত্রু নয়। তবে এটা ঠিক হচ্ছে না। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। কারণ, কথা বলা দরকার।'
দিল্লিতে যাওয়ার আগে ত্রিপুরা ইসুতে বিজেপিকে আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, ত্রিপুরা জ্বলছে। সেখানে হিংসা হচ্ছে। সায়নির মতো একজন শিল্পীকে মারধর করা হয়েছে। আমরা মাটি ছাড়ব না। গতকাল থেকে আমরা .ত্রিপুরায় সভা করার জন্য অনুমতি চাইছি। অথচ আমাদের দেওয়া হয়নি।
'সায়নী ঘোষ একটা স্লোগান দিয়েছিলেন বলে গ্রেফতার করা হল, তাহলে প্রধানমন্ত্রীও তো আমাদের রাজ্যে গিয়ে খেলা হবে বলেছিলেন, তাহলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে না কেন?', প্রশ্ন তুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সায়নী ঘোষকে কেন গ্রেফতার করা হল, এই প্রশ্ন তুলে নর্থ ব্লকের সামনে বিক্ষোভ তৃণমূল সাংসদদের। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে যান তৃণমূলের সাংসদরা। কিন্তু অমিত শাহর সঙ্গে দেখা না হওয়ায় বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা।
ত্রিপুরায় সায়নী ঘোষের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। এবার একেবারে বিজেপির রাজ্য দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। তাঁদের একটাই দাবি, বিজেপি বাংলা ছাড়ো। তৃণমূলের কর্মীদের বিক্ষোভের জেরে দফতরে প্রবেশ করতে পারছেন না বিজেপির নেতা কর্মীরা। যতক্ষণ না সায়নী ঘোষকে ছাড়া হচ্ছে ততক্ষণ সারা বাংলা জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলবে বলেও জানাচ্ছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। (রিপোর্টার-রাহুল মণ্ডল)
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রার অনুমতি না দেওয়ায় ট্যুইটে ত্রিপুরা সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ
অভিষেকের পদযাত্রা বাতিল করল ত্রিপুরা সরকার।
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) November 22, 2021
চক্ষুলজ্জায় নির্দেশে বলল সবার বাতিল।
কিন্তু চিঠিতেই প্রমাণিত যে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই।
চিঠির বয়ানেই মানছে পুলিশ।
খোদ রাজধানী আগরতলার বুকে এই অবস্থা।
গুন্ডারাজ চলছে।
মানুষ বিচার করবেন। pic.twitter.com/Qtn693SfDF
ঘোষণা মতো সোমবার সকালেই ত্রিপুরায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের যুব নেত্রী সায়নী ঘোষকে গ্রেফতারের পরেই উত্তপ্ত হতে থাকে ত্রিপুরার পরিস্থিতি। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কারণে অভিষেককে পদযাত্রা অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তার বদেল একটি পথসভার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।