কাশির ওষুধএতদিন পর্যন্ত কাফ সিরাপকে রাখা হতো ড্রাগ অ্যান্ড কসমেটিক্স আইনের শিডিউল কে-এর অধীনে। যার ফলে সম্পূর্ণ ড্রাগ লাইসেন্স না থাকলেও এই ধরনের সিরাপ বিক্রি করা যেত। তবে বর্তমানে শিডিউল কে থেকে কাফ সিরাপকে বের করে আনার কাজে লেগে পড়েছে ভারতীয় ড্রাগ কন্ট্রোলার বলে খবর সূত্রের। সাধারণ মানুষের স্বার্থেই তারা এই পদক্ষেপ নিতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
আসলে বর্তমানে কাফ সিরাপ শিডিউল কে-এর অধীনে পড়ে। এই শিডিউলের অধীনে এমন কিছু ওষুধ রয়েছে যেগুলির ঝুঁকি কম। তাই এই ওষুধগুলি এতদিন সম্পূর্ণ ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াও বিক্রি করা যেত। আর শুধু কাফ সিরাপ নয়, এই তালিকায় পিল, ব্যান্ডেজ, তুলো, আয়োডিন, বেনজয়েন সহ একাধিক কম ঝুঁকির ঔষধি পণ্য রয়েছে।
তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে কাফ সিরাপ নিয়ে আরও সতর্ক থাকতে চাইছে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলার। তাদের পক্ষ থেকে কাফ সিরাপকে শিডিউল কে-এর বাইরে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই সূত্রের খবর। এই কাজটা হয়ে গেলেই ওভার দ্যা কাউন্টার ড্রাগ হিসাবে কাফ সিরাপ পাওয়া কঠিন হবে। এমনকী কাফ সিরাপ প্রস্তুতকারী সংস্থাকেও আরও নানাবিধ নিয়মের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। যার ফলে এই সিরাপ খেয়ে ঝুঁকির আশঙ্কা কমবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কোল্ড রিফ কাফ সিরাপ কেস
এই তো চলতি বছরেই মধ্যপ্রদেশে কোল্ডরিফ কাফ সিরাপ খেয়ে ২০-এর বেশি শিশুমৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। যার ফলে শুরু হয়ে যায় তদন্ত। সেই তদন্তে জানতে পারা যায় যে ওই কাশির সিরাপে ডাইথাইলিন গ্লাইকল নামক একটি ক্ষতিকর উপাদান সুরক্ষা মাত্রার থেকে অনেকটা বেশি পরিমাণে ছিল। যার ফলে শিশুমৃত্যু হয় বলে অভিযোগ।
আর এই ঘটনা সামনে আসার পরই কোল্ডরিফ কাফ সিরাপ ব্যবহারে গোটা দেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। পাশাপাশি সংস্থাকে করা হয় ব্যান। এমনকী একাধিক গ্রেফতারীও চলে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক স্তরেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোল্ডরিফ নিয়ে সতর্ক করে দেয়।
এমন পরিস্থিতিতেই কাফ সিরাপ নিয়ে আরও সতর্ক হতে চাইছে ভারত সরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই তারা সাধারণ মানুষের সুরক্ষার স্বার্থেই কাফ সিরাপকে শিডিউল কে ড্রাগের বাইরে আনতে চাইছে। তাতে আর ওভার দ্যা কাউন্টার ড্রাগ হিসাবে মিলবে না এই ওষুধ বলেই মনে করা হচ্ছে।