উত্তরপ্রদেশের পিলিভিটে বরুণ গান্ধীকে প্রার্থী করেনি বিজেপি। তাঁর জায়গায় উত্তরপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রী জিতিন প্রসাদকে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির। তারপর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে বরুণ এবার নির্দল আসন থেকে লড়তে পারেন। শোনা যাচ্ছে, সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে তিনি লড়বেন। এই পরিস্থিতিতে বরুণ গান্ধীকে কংগ্রেসে আসার যোগ দেওয়ার অফার দিলেন বহরমপুরের বিদায়ী সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, 'বরুণ গান্ধীর কংগ্রেসে যোগ দেওয়া উচিত। তিনি কংগ্রেসে যোগ দিলে আমরা খুশি হব। বরুণ গান্ধী একজন শক্তিশালী এবং অত্যন্ত দক্ষ নেতা। বরুণ বলেছিলেন, গান্ধী পরিবারের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের কারণে বিজেপি তাঁকে টিকিট দেয়নি। আমরা চাই বরুণ গান্ধী এখন কংগ্রেসে যোগ দিন।'
পিলিভিট থেকে টিকিট না পাওয়ায় বরুণের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তিনি কি কংগ্রেস বা অন্য কোনও দলে যোগ দেবেন নাকি নির্দল হিসেবে লড়বেন? সূত্রের বিশ্বাস, বরুণ আর পিলিভিট থেকে নির্বাচনে লড়বেন না। ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন, তিনি প্রতারিত হয়েছেন। তাই নির্বাচনে লড়বেন না। এদিকে বিজেপি বরুণকে টিকিট না দিলেও তাঁর মা মেনকা গান্ধীকে সুলতানপুর আসন থেকে প্রার্থী করেছে।
শোনা যাচ্ছে, বরুণকে অনেকেই নির্দল হিসেবে লড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আবার অনেকে তাঁকে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথাও বলেছেন। এই নিয়ে সামাজিক মাধ্যমেও বিতর্কও শুরু হয়েছে। নেটিজেনদের একাংশ বরুণকে কংগ্রেসে ফিরে যেতে বলছেন। তারই মধ্যে অধীর রঞ্জন চৌধুরীও তাকে দলে যোগ দেওয়ার খোলা প্রস্তাব দিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে পিলিভিট কেন্দ্র থেকে প্রথম বার বিজেপির টিকিটে লড়ে সাংসদ হয়েছিলেন বরুণ। ২০১৪-তে মা মেনকাকে পিলিভিট ছেড়ে তিনি সুলতানপুরে প্রার্থী হন এবং জেতেন।