aeroponic potato farming technique: চাষ করতে চান? অথচ জমি নেই! অথবা শখের বাগান করতে চান বাড়িতেই। বাইরের বাজারের সার দেওয়া আলু খেতে চান না মোটেই। তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসে পড়েছেন। আপনাকে জানিয়ে দিই এখন সামান্য জায়গায়, বাড়ির বারান্দায় অথবা ছাদে জমি থাকলে ভাল, না থাকলেও শূন্যে ফলাতে পারেন আলু (Potato In The Air)। জমি যদি থাকে তাহলে তাতেও হাওয়ায় ফলাতে পারবেন আলু। আর তাহলে দেরি কেন, আলু ফলান আর দেদার চলুক আলু খাওয়া। আলু ভাজা, আলু ভুজিয়া, আলুর চিপস থেকে শুরু করে সব রান্নাতেই হোক এবার আলুর সদ্ব্যবহার।
অ্যারোপনিক টেকনিকের মাধ্যমে, হাওয়াতে আলু
ভারতে বড় সংখ্যায় কৃষকেরা আলুর চাষ করেন (farmers can get 10 time higher profit in Patato Farming)। এখন এই আলু জমিতে চাষ করা হয়, এটাই স্বাভাবিক। সব ফসলই জমিতেই চাষ করা হয়। কিন্তু এখন এমন একটি টেকনিক চলে এসেছে যাতে, যার সাহায্যে আপনি জমি না থাকলেও শূন্যে আলু চাষ করতে পারবেন। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য অনুযায়ী এই টেকনিকে আলুর চাষ করলে কৃষকদের লাভ আরও বাড়তে থাকবে। সঙ্গে সময়ও বাঁচবে। এ ছাড়া লাভ বেশি আসবে ১০ গুণ।
কৃষকদের আমদানি বাড়াবে টেকনিক
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, কৃষকদের খুব বেশি লাভ হবে এই পদ্ধতিতে। কারণ এতে কৃষকরা কম পুঁজিতে আলু চাষ করতে পারবেন। আর যারা শখের বশে আলু চাষ করতে চান, তারাও বাড়িতে দিব্যি ১০-২০ কেজি থেকে কয়েক কুইন্টাল আলুতে ফলাতে পারেন সহজেই। আর এতে জমির প্রয়োজন হচ্ছে না।
অ্যারোপনিক টেকনিকের মাধ্যমে, হাওয়াতে আলু
সেই পদ্ধতি কৃষকরা এখন অ্যারোপনিক টেকনিকের মাধ্যমে, হাওয়াতে আলু ফলাতে পারবেন। এই টেকনিকের ব্যবহার করে হরিয়ানাতে কয়কেটি জেলায় আলুর শুরু হয়ে গিয়েছে। সরকারও টেকনিক্যাল স্বীকৃতি দিয়েছে। মধ্যপ্রদেশও উদ্যানপালন বিভাগ এই পদ্ধতির লাইসেন্স দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে। বাকি রাজ্যগুলিতেও একই পদ্ধতিতে বাবু করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
কীভাবে ফলবে আলু?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে কৃষকদের খুব বেশি লাভ হবে এতে কারণ এতে কৃষকরা কম খরচে আলু ফলাতে পারবেন। বেশি করে এই টেকনিক ঝুলন্ত শিকড় হাওয়া ও আলো থেকে তাদের পুষ্টি পাবে এবং যার ফলে, মাটি এবং জমি প্রয়োজন হবে না।
জানিয়ে দেওয়া যাক, এয়ারোপনিক টেকনিক-এ স্প্রে করে সার গোড়ায় ছিটিয়ে দিতে হয়। উপরিভাগ খোলা হাওয়া এবং আলোতে থাকে। যে সমস্ত ফসল মাটিতে থাকাকালীন ব্যাকটেরিয়া, পোকামাকড়ের আক্রমণে আক্রান্ত হয়, সেগুলি একেবারেই হবে না। ফলে ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম। তাতে ক্ষতির সম্ভাবনা কমে যায় অনেকটাই। কৃষকেরা এই টেকনিকে প্রতি যদি সচেতন হন এবং নিজ নিজ রাজ্য কৃষি উদ্যান পালন দপ্তরে যোগাযোগ করেন, তাহলেই পদ্ধতিতে চাষ করতে পারবেন।