পৃথিবীর অনেক জায়গায় যুদ্ধ চলছে। এদিকে আরেকটি যুদ্ধের আভাস পাওয়া যাচ্ছে, যার স্ফুলিঙ্গ গত কয়েকদিন ধরে জ্বলছে। আসলে, আমরা প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের কথা বলছি, যেখানে এই সময়ে উত্তেজনা চরমে রয়েছে। মঙ্গলবার পাকিস্তান সেনাবাহিনী আফগানিস্তানের পূর্ব পাকতিকা প্রদেশে বিমান হামলা চালালে এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। এই বিমান হামলায় ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। কিন্তু এই হামলার পর তালিবান এখন প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জ করেছে। তালিবান বলেছে যে তারা অবশ্যই এর প্রতিশোধ নেবে।
প্রথমে জেনে নিন কী ব্যাপার
পাকিস্তান ও তালিবান একে অপরকে প্রতিদিন আক্রমণ করে। কিন্তু মঙ্গলবার বড় ধরনের বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। বারমাল জেলায় এ হামলায় বহু বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। তালিবান সরকারের ডেপুটি মুখপাত্র হামদুল্লাহ ফিতরাতও বলেছেন, মৃতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। তিনি বলেন, পাকিস্তান ৪টি স্থানে হামলা চালিয়েছে।
তালিবান ওপেন চ্যালেঞ্জ দিয়েছে
পাকিস্তানের এই হামলার পর তালেবান এখন প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করেছে। তালিবান সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই হামলাকে বর্বর আখ্যা দিয়ে বলেছে যে পাকিস্তানের বোঝা উচিত এটি কোনও সমস্যার সমাধান নয়। আফগানিস্তান এই নিষ্ঠুর কাজের জবাব দেবে। ভূমি ও ভূখণ্ড রক্ষা করাকে অধিকার বলে মনে করে আফগানিস্তান। আমরা অবশ্যই এর প্রতিশোধ নেব।
পাকিস্তান এর আগেও হামলা চালিয়েছে
তবে আফগানিস্তানে পাকিস্তান এই ধরনের বোমা হামলা এই প্রথম নয়। এর আগে চলতি বছরের মার্চে পাকতিকা ও সাপার জেলায় বোমা হামলা চালায় পাকিস্তান। এর আগে ইরানেও বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তান দাবি করেছিল যে তারা ইরানের সিস্তান-বেলুচিস্তানে অনেক বিএলএ জঙ্গিকে হত্যা করেছে। একই সঙ্গে তালিবান আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) প্রভাব বেড়েছে। টিটিপি বেশ কয়েকবার পাকিস্তানে হামলা করেছে। এসব হামলায় অনেক পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে। ক্ষতির মুখে পড়েছেন সাধারণ নাগরিকরা। পাকিস্তানের দাবি, এই বিমান হামলায় অনেক টিটিপি বিদ্রোহী নিহত হয়েছে।