ফের জম্মু-কাশ্মীরে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে প্রাণহানি। কিশতওয়ারের পর এবার কাঠুয়া। রবিবার সকালে সেখানে প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ে প্রাণ গেল কমপক্ষে ৪ জনের। আহত আরও ৬। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাঠুয়া জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রাম। একাধিক ঘরবাড়ি হড়পা বানের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। মাথার উপর ছাদ হারালেন আরও বহু মানুষ।
গত সপ্তাহেই হড়পা বান এবং মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ধ্বংসলীলা চলে জম্মু-কাশ্মীরের কিশতওয়ারে। মৃত্যু হয় ৬০ জনেরও বেশি মানুষের। ধস এবং হড়পা বানের তোড়ে বহু ঘরবাড়ি ভেঙে ধূলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের পাঠানকোট জাতীয় সড়কও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও বিভিন্ন এলাকায় উদ্ধারকাজ চলছে। এখনও সেই মুহুর্তের বিভীষিকা ভুলতে পারছেন না প্রত্যক্ষদর্শীরা। তারা ব্যাখ্যা করেন, বিপুল বেগে ধুলোর ঝড় ধেয়ে আসছিল কিশতওয়ারে। গোটা এলাকা ঢেকে যায় কাদায়।উপড়ে পড়ে গাছ। সেই সব ভেসে আসে জলকাদার সঙ্গে। এই বিপর্যয়ে এখনও নিখোঁজ ২২০। আহত একাধিক।
এদিকে, রবিবারের মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানে কাঠুয়া জেলার থানা সম্পূর্ণ জলে ডুবে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেললাইনও। ভোররাতেই আচমকা শুরু হয় মেঘ ভাঙা বৃষ্টি। আর তারপরই হড়পা বানের তাণ্ডব শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজ শুরু করে দেয় SDRF এবং স্থানীয় পুলিশের টিম।
ধস নেমেছে বাগার্দ এবং চাংদা গ্রামে। যা কাঠুয়া থানার অন্তর্গত। এছাড়াও লখনপুর থানার অন্তর্গত দিলওয়ান-হুতলি এলাকাও ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নাগাড়ে চলা ভারী বর্ষণের কারণে প্রায় সমস্ত নদীর জলস্তরই বেড়ে গিয়েছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে উঝ নদীর জল। গোটা পরিস্থিতি মনিটরিং করছে জেলা প্রশাসন। জলাশয় এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।