scorecardresearch
 

Agenda Aaj Tak: নিজেদের সুবিধামতো সময়ে শত্রুর উপর অস্ত্র হামলা করব: বায়ুসেনা প্রধান

লজিস্টিক চেন বাড়ানোর জন্য বিদেশের উপর নির্ভরতা ছাড়তে হবে৷ আত্মনির্ভর হতে হবে। দেশীয় উৎপাদনকারীদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বায়ুসেনা প্রধান।

Advertisement
বায়ুসেনার প্রধান। বায়ুসেনার প্রধান।
হাইলাইটস
  • আধুনিক যুদ্ধ বদলে গিয়েছে।
  • বাহিনীও নিজেকে বদলাচ্ছে
  • বললেন বায়ুসেনার প্রধান।

বালাকোটে পাকিস্তানকে সবক শেখানো, কোভিডে অক্সিজেনের যোগান দেওয়া, ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার বা দুর্যোগে ত্রাণ- সবসময় এগিয়ে এসেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। অপারেশন মেঘদূত, অপারেশন সফেদ সাগর, স্নো লেপার্ড এবং বালাকোটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এয়ার চিফ মার্শাল বিবেক রাম চৌধুরী। বর্তমান তিনি বায়ুসেনার প্রধান। অ্যাজেন্ডা আজতকে তিনি বলেন,'জাতির শক্তি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর ভূমিকা বিরাট। ভারতীয় বায়ুসেনার অবদান সবসময়ই আছে, তা অব্যাহতও থাকবে।'

বায়ুসেনা প্রধান মনে করিয়ে দেন,'এই সময়ে নানা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। ধীর গতির ড্রোন থেকে হাইপারসনিক অস্ত্র রয়েছে। রয়েছে আকাশ হামলার আশঙ্কাও। বেড়েছে সাইবার হামলাও। রাশিয়া এবং ইউক্রেন থেকে কি শিখেছি? আকাশে লড়াইয়ের শক্তি বাড়াতে হবে। আমরা কি আমাদের লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছি? শেষ কথা হল লড়াই কবে শেষ হবে। এই জানি না। তার মানে আমাদের দীর্ঘ সময়ের যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। আগে আমরা স্বল্প সময়ের যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতাম। এখন যুদ্ধের সময় বাড়ছে। তার মানে আরও লজিস্টিক দরকার। কৌশল না থাকলে সাফল্য আসবে না।'

লজিস্টিক চেন বাড়ানোর জন্য বিদেশের উপর নির্ভরতা ছাড়তে হবে৷ আত্মনির্ভর হতে হবে। দেশীয় উৎপাদনকারীদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বায়ুসেনা প্রধান। তিনি জানান, ৪০টি এলসিএ আমাদের কাছে রয়েছে। LCA Mark 2 উৎপাদন চলছে। হালকা যুদ্ধ হেলিকপ্টার থেকে ভূমি থেকে ভূমি হাতিয়ারও রয়েছে। মিগ এবং জাগুয়ারের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। দেশীয় উৎপাদনে জোর দিলে শক্তি আরও বাড়বে।' 

UCAV নিয়ে বায়ুসেনা প্রধান বলেছিলেন,'বিশেষ প্রযুক্তির কথা বললে ড্রোন সম্পর্কে বলা উচিত। আকাশের প্রতিরোধী ব্যবস্থা শক্তিশালী হলে ড্রোনের প্রয়োজন নেই। দুর্বলতা থাকলে ড্রোনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। আগামী দিনে ম্যান মেশিন ইন্টারফেস এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আরও যুদ্ধবিমান দরকার। সাইবার যুদ্ধও করতে হবে। সফটওয়্যার যুদ্ও রয়েছে। সবই দেশীয় প্রযুক্তিতে করব। সমস্ত সফ্টওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন ভারতে তৈরি। এই নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করতে হবে।'

Advertisement

ভারতের  সামনে কী ধরনের বিপদ? বায়ুসেনা প্রধান জানিয়েছেন,আকাশ থেকে মহাকাশে চলেছি। এয়ার পাওয়ার থেকে তৈরি হচ্ছে অ্যারো-স্পেস পাওয়ার। আমরা মহাকাশ সংক্রান্ত প্রযুক্তির উপর নজর রাখছি। দ্রুত গতির যুদ্ধ থেকে নন-কাইনেটিক যুদ্ধে পরিবর্তন আনা দরকার। যে যুবক-যুবতীরা আসছেন,প্রথম দিন থেকেই তাঁদের জানা উচিত কী ধরনের বিপদের সম্মুখীন হতে হবে। একবিংশ শতাব্দীর কথা মাথায় রেখে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আমরা তিনটি বিষয়ে নজর দিয়েছি। কীভাবে অপারেশন, তা আরও উন্নত করা এবং দীর্ঘকালীন।'

বায়ুসেনার প্রধান আরও বলেন,'আমরা সবসময় শত্রুকে আক্রমণ করতে প্রস্তুত। নিজেদের ইচ্ছামতো সময়ে অস্ত্র ব্যবহার করব। পরের বার আমরা এমন অস্ত্র ব্যবহার করব যা ভিডিও রিল পাঠিয়ে দেবে। প্রযুক্তির মোকাবিলা সবসময় প্রযুক্তি দিয়ে হয় না। কখনও কখনও কৌশলেও হয়। আমাদের যা আছে সেটাই আমরা ব্যবহার করব।'

ভবিষ্যত বাহিনীর সদস্যের কাছ থেকে আপনি কী আশা করেন? বায়ুসেনা প্রধানের জবাব,'আমাদের স্মার্ট জওয়ান দরকার যারা মাল্টি-টাস্কিং করতে পারে। প্রতিটি বায়ুসেনার জওয়ানের বিভিন্ন ধরণের যুদ্ধক্ষেত্র সম্পর্কে বুঝতে হবে। ভাবনার যেন কোন সীমা না থাকে। আগামী ২০-২৫ বছরে অনেক পরিবর্তন হবে। ভবিষ্যতের জওয়ান দরকার। শতভাগ স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে কতদিন লাগবে তা ঠিক করা কঠিন। তবে আমরা শীঘ্রই করব।'

আরও পড়ুন- দেশের তিন বাহিনীর একই পদমর্যাদা, বড় বদলের ইঙ্গিত নৌ সেনা প্রধানের

Advertisement