Agenda Aajtak 'অ্যাজেন্ডা আজতক ২০২৫'-এ উপস্থিত হয়ে অপারেশন সিঁদুরের প্রসঙ্গ তুলে ধরলেন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া জওয়ানরা। কর্নেল কোশাঙ্ক লাম্বা এই অপারেশনে অংশ নিয়েছিলেন। অসাধারণ অবদানের জন্য বীর চক্র প্রদানও করা হয়েছে তাঁকে। জানান, রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন তিনি। শত্রুরা যাতে অজ্ঞাত এলাকায় লুকিয়ে থাকতে না পারে সেদিকে নজরদারির দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
কর্নেল কোশাঙ্ক লাম্বা বলেন, 'বিভিন্ন স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া, লক্ষ্যবস্তু সনাক্ত করা এবং শত্রুর অবস্থান ধ্বংস করার জন্য প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি নিতে হয়েছিল আমাদের।'
ওই অফিসার আরও জানান, সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম এবং জওয়ানদের রক্ষা করাও তাঁর ভূমিকার অংশ ছিল। সেখানে উপস্থিত নায়েব সুবেদার সতীশ কুমার জানান, তাঁর ভূমিকা ছিল মোটর পজিশন কন্ট্রোলারের। সঙ্গে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার দায়িত্বও ছিল। নায়েব সুবেদার সতীশ কুমারকেও বীরচক্র প্রদান করা হয়েছে সরকারের তরফে।
ওই সুবেদার জানান, ১০ মে ২০২৫ তারিখে সকাল ৬ টায়, শত্রুরা তাঁদের অবস্থানে গুলি চালায়। তখন পাল্টা গুলি চালানো হয়। তাঁর কথায়, 'আমাদের সেন্ট্রি আমাদের পোস্টের ১৫০ মিটার উপরে একটি ড্রোন লক্ষ্য করে। আমরা পাঁচ রাউন্ড গুলি ছুড়ি। ড্রোনটি পালায়। তারপর, সিও-র নির্দেশে, আমরা অন্য জায়গায় গিয়ে গুলি চালানো শুরু করি। শত্রুরা দুই জায়গা থেকে গুলি চালাচ্ছিল তখন। আমরা ক্রমাগত সিও-র সঙ্গে যোগাযোগে ছিলাম। সিও জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আমরা কি একই সঙ্গে দুটি শত্রু লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করতে পারি। আমি বললাম, হ্যাঁ, আমি পারি। আমার কাছে চারটি টিউব ছিল। আমি হামলা করি লক্ষ্যবস্তুতে। তাতে ধ্বংস হয় জঙ্গিঘাঁটি।'
শৌর্য চক্র পুরষ্কারপ্রাপ্ত মেজর যুধবীর তাঁর অভিযানের গল্প শোনান। ২০২২ সালের এপ্রিলে একটি অভিযানের বর্ণনা দিয়ে বলেন, 'আমরা সন্ত্রাসবাদীদের গতিবিধির খবর রাখছিলাম। আমাদের কাছে এলাকা সম্পর্কে তথ্য ছিল। জঙ্গিদের গাড়িটিও খুঁজে পায়। তাদের গাড়ি থামানো মাত্র গুলি চালাতে থাকে। যদিও সন্ত্রাসীবাদীরা পরে নিহত হয়।'
এরপর সেনা পদকপ্রাপ্ত হাবিলদার অমিত কুমার তাঁর গল্প শেয়ার করেন। পুলওয়ামার অভিযানের বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, '২০২২ সালে এই অভিযানের সময় আমরা আমাদের QRT নিয়ে গ্রামে পৌঁছেছিলাম। ১০ থেকে ১২টি বাড়ি ঘিরে ফেলেছিলাম। আমরা যখন বাড়িগুলি তল্লাশি করছিলাম তখনই সন্ত্রাসবাদীরা গুলি চালায়। কিন্তু আমাদের কোনও ক্ষতি হয়নি। আমরা যদিও জঙ্গিদের আত্মসমর্পনের সুযোগ দিয়েছিলাম। পরিবর্তে তারা গুলি চালিয়ে যেতে থাকে। অবশেষে, দীর্ঘক্ষণ গুলি বিনিময়ের পর, চারজন সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়।'
কর্নেল লাম্বা অপারেশন সিন্দুরের বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, 'এমন সময় ছিল যখন আমাদের এলাকার কাছে শত্রুদের ড্রোন দেখা যেত। কিন্তু আমরা এই পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিলাম। যখনই কোনও ড্রোন দেখা যেত, তখন আমরা সমস্ত অপ্রয়োজনীয় কার্যকলাপ বন্ধ করে দিয়ে হাই কমান্ডকে রিপোর্ট করতাম।'