গতবছর থেকে ভারতে অগ্নিবীর যোজনার আওতায় নতুন সেনা নিয়োগ শুরু হয়েছে এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় নতুন বছরের ২ জানুয়ারি থেকে সেনাবাহিনীর অগ্নিবীরদের প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। আহমেদনগরের আর্মার্ড কর্পস সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে অগ্নিবীর প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। এখানে অগ্নিবীরের প্রথম ব্যাচকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই কেন্দ্রে প্রায় ১৮০০ অগ্নিবীর রয়েছে যারা প্রাথমিক এবং উন্নত প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।
শারীরিক প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে দৌড়ের মাধ্যমে। তারপর মাটিতে রোলিং, ডিপস, হাত ও পায়ের ব্যায়াম করানো হচ্ছে। এছাড়াও দড়িতে হাঁটানো-সহ সেনা জওয়ানদের মতো সব প্রশিক্ষণই দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫ মিনিটের জন্য অনুশীলন হচ্ছে।
শারীরিক প্রশিক্ষণের পর আসে ড্রিল প্রশিক্ষণের পালা। এই প্রশিক্ষণ সৈন্যদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কুচকাওয়াজ, স্লটিং, বন্দুক চালনা প্রশিক্ষণের শৃঙ্খলা শেখানো হয় এবং সেনাবাহিনীর ঐতিহ্যবাহী মার্চের বিভিন্ন ধাপ শেখানো হয়। যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে যে কোনও কাজের প্রয়োজন হতে পারে, এমন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ ছাড়া গাড়ি কীভাবে চলে, এতে কী কী জিনিস রয়েছে, গাড়ি কীভাবে চালাতে হয়, ত্রুটি থাকলে কীভাবে মেরামত করতে হয়, এসবও শেখানো হচ্ছে।
প্রাথমিক প্রশিক্ষণের পর অগ্নিবীরদের জন্য ট্যাঙ্ক প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। যেখানে বাস্তব ট্যাঙ্কের পাশাপাশি ভার্চুয়াল ট্যাঙ্ক এবং ট্যাঙ্কের উপরের অংশগুলি আহমেদনগরের আর্মার্ড কর্পস সেন্টার এবং স্কুলে স্থাপন করা হয়েছে। এখানে অগ্নিবীর ট্যাঙ্ক ড্রাইভিং, ফায়ারিং, গিয়ার পরিবর্তন এবং ট্যাঙ্কের যাবতীয় কাজ শেখানো হয়। আগামী ৬ মাস অগ্নিবীরদের জন্য কঠোর প্রশিক্ষণ পরিচালিত হবে যেখান থেকে প্রশিক্ষণ শেষ করে কিছু অগ্নিবীর সেনাবাহিনীতে সুযোগ পাবে।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের নতুন পেনশন স্কিম নিয়ে কেন রাজনৈতিক বিতর্ক, কী রয়েছে এই স্কিমে?