Agra Conversion Case: হিন্দু তরুণীর নাম বদলে মরিয়ম, চতুর্থ বিয়ের জন্য ফুঁসলিয়ে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা আব্দুলের

আগ্রায় ধর্মান্তকরণের ঘটনায় নয়া মোড়। হিন্দু তরুণীর নাম বদল করে ফুঁসলিয়ে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার প্ল্যান করেছিল অভিযুক্ত আব্দুল রহমান। পুলিশ কীভাবে হাতে নাতে ধরল তাকে? মেয়েটিকে দিয়ে কলমাও পড়ানো হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement
 হিন্দু তরুণীর নাম বদলে মরিয়ম, চতুর্থ বিয়ের জন্য ফুঁসলিয়ে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা আব্দুলের নিজস্ব চিত্র
হাইলাইটস
  • হিন্দু তরুণীর নাম বদলে মরিয়ম
  • হোয়াটসঅ্যাপে কলমা পাঠ
  • দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে চতুর্থবার বিয়ের প্ল্যান আব্দুলের

উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় ধর্মান্তকরণ কাণ্ডে নয়া তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত আব্দুল রহমান উত্তরাখণ্ডের তরুণীর ধর্মান্তকরণ করিয়ে তাঁকে বিয়ে করতে চেয়েছিল বলে অভিযোগ। আর সে কারণেই মেয়েটিকে দিল্লি পাঠানোর চেষ্টা চালাচ্ছিল যুবক। কিন্তু তার আগেই আগ্রা পুলিশ হাতেনাতে পাকড়াও করে তাকে। উদ্ধার করা হয় তরুণীকেও। 

উত্তরাখণ্ডের ২১ বছরের ওই তরুণী সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যুবকের সঙ্গে আলাপ করেন। ক্রমশ গভীর হয় তাঁদের বন্ধুত্ব। তখনও তরুণী বুঝতেই পারেনি ধীরে ধীরে নিজের পরিচয়, ধর্ম এবং স্বাধীনতাও জলাঞ্জলী দিতে হবে তাঁকে। ৬ বছর আগে মুজফফরনগরের বাসিন্দা আবু তালিব নাম নিয়ে মেয়েটির সঙ্গে পরিচয় করেছিল এই আব্দুল রহমান। এর আগেও ৩ বার নিকাহ হয়েছে তার। নির্যাতিতাকে ফুঁসলিয়ে দিল্লি নিয়ে গিয়ে চতুর্থ বার বিয়ে করার মতলব ছিল অভিযুক্তের। 

জানা গিয়েছে, ফেসবুক প্রেমিক তরুণীকে 'রিভার্ট টু ইসলাম' নামে একটি গ্রুপে অ্যাড করিয়েছিল। দিল্লি, দেহরাদুন এবং অন্যান্য জায়গার একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে মেয়েটির পরিচয় করাতে শুরু করে সে। প্রত্যেকেই ওই গ্রুপের সদস্য বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, ধীরে ধীরে মানসিক ভাবে মেয়েটিকে ধর্মান্তকরণের জন্য প্রস্তুত করতে শুরু করেছিল যুবক। মেয়েটির ফোন খারাপ হয়ে যাওয়ায় তাঁকে নতুন ফোন এবং সিম কার্ড কিনে দেয় সে। রিচার্জের পয়সাও দেয়। কিন্তু তারপরই শর্ত আরোপ শুরু করে। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে এবার থেকে তবেই মিলবে এই ধরনের সুযোগ সুবিধা। চাপ দেওয়া হয় আবদুল রহমানের সঙ্গে বিয়ে করার জন্যও। জোর করে মেয়েটির নাম মরিয়ম রাখা হয়। দিল্লি নিয়ে গিয়ে তাঁকে বিয়ে করার প্রস্তুতিও শুরু করেছিল অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, মুসলিম এক ভ্যান চালককে পয়সা দিয়ে মেয়েটিকে হরিদ্বারের রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্ল্যানও ছকে ফেলা হয়েছিল। জোর করে হোয়াটসঅ্যাপে তাঁকে কলমা পড়া শেখানো হয়। সে সময়েই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় আগ্রা পুলিশ। 

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত চলতি বছরের ৪ মে। আগ্রা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগটি ছিল বলপূর্বক ধর্মান্তকরণের। উত্তরপ্রদেশ-সহ ৬ রাজ্য থেকে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের সকলের বিরুদ্ধে ‘লাভ জিহাদ’-এর অভিযোগ ওঠে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ‘মিশন অস্মিতা’ শুরু করেছে। তারই হাত ধরে অবৈধ ধর্মান্তকরণ সিন্ডিকেটের ১০ জন গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

POST A COMMENT
Advertisement