Ahmedabad Plane Crash: আহমেদাবাদে বিমানে যাত্রীদের নিয়েই 'সুইসাইড' করেন পাইলট? বিস্ফোরক চিঠি বাবার

আমেদাবাদের ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে। মানসিক চাপের জেরে বিমান নিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সবরওয়াল? এই নিয়ে এবার কেন্দ্র সরকারকে চিঠি দিলেন সুমিতের বাবা পুষ্করাজ সবরওয়াল।

Advertisement
আহমেদাবাদে বিমানে যাত্রীদের নিয়েই 'সুইসাইড' করেন পাইলট? বিস্ফোরক চিঠি বাবারসুমিত সবরওয়াল
হাইলাইটস
  • আমেদাবাদের ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে
  • মানসিক চাপ থেকে বিমান নিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন পাইলট?
  • কেন্দ্রকে চিঠি দিলেন সুমিত সবরওয়ালের বাবা

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে বিস্ফোরক চিঠি পাইলটের বাবার। এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনকোয়্যারি ব্যুরোর প্রাথমিক তদন্তে সন্তুষ্ট নন দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট সুমিত সবরওয়ালের বাবা পুষ্করাজ কেন্দ্রের কাছে তিনি সরকারি তদন্তের দাবি তুলেছেন। 

মানসিক চাপে আত্মঘাতী পাইলট?
১২ জুন। ভয়ঙ্কর সেই দিন। আমেদাবাদে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ এয়ারক্রাফ্ট। লন্ডনগামী সেই AI171 নম্বর ফ্লাইটের ২৬০ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই বিমানেরই পাইলট ছিলেন সুমিত সবরওয়াল। ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছিলেন তিনি। যান্ত্রিক ত্রুটি না অন্য কোনও কারণ, কীভাবে উড়ানের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিমান আছড়ে ভেঙে পড়ল, তা নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল দেশ।  প্রাথমিক রিপোর্টে প্রকাশ্যে এসেছিল, ইঞ্জিনের ফুয়েল সুইচ কাট অফ হয়ে যাওয়ার কথা। সামনে এসেছিল দুই পাইলটের কথোপকথনও। যেখানে, একজন আর একজন পাইলটকে জিজ্ঞাসা করছেন, 'তুমি সুইচ বন্ধ করলে কেন?' তবে কি মানসিক চাপেই বিমান নিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন সুমিত সবরওয়াল? এমন তথ্যও উঠে এসেছিল। এবার পাইলট সুমিত সবরওয়ালের বাবা এই নিয়ে মুখ খুললেন। তাঁর মন্তব্য নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিল ভয়াবহ এই বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে।  

কী বক্তব্য বাবার?

অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক এবং এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনকোয়্যারি ব্যুরোকে একটি চিঠি দিয়েছেন সুমিতের বাবা পুষ্করাজ সবরওয়াল। নবতিপর এই ব্যক্তি বলেন, '১২ জুনের দুর্ঘটনা সম্পর্কে কিছু নির্দিষ্ট তথ্য ফাঁস হওয়ায় মনে করা হচ্ছে যে সুমিত অত্যধিক মানসিক চাপের মধ্যে ছিল এবং আত্মহত্যার কথাও মাথায় ঘুরছিল ওর। আর তাই বিমান নিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। এই ধরনের তথ্য আমার মানসিক অবস্থা এবং স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। সর্বোপরি ক্যাপ্টেন সুমিত সবরওয়ালের সম্মানও নষ্ট হয়েছে। ভারতের সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী প্রত্যেকের মৌলিক অধিকার নিজের সম্মান রক্ষা করা।'

জানা গিয়েছে, গত ২৯ অগাস্ট পুষ্করাজ সবরওয়াল এই চিঠি লিখেছেন। তাঁর আর্জি, এয়ারক্রাফ্টের ১২ নম্বর ধারা অনুযায়ী এই দুর্ঘটনার সরকারি তদন্ত হোক। এই ধারায় কেন্দ্রীয় সরকার ভারতীয় রেজিস্ট্রেশন থাকা যে কোনও দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে পারে। তবে এই চিঠি নিয়ে এখনও পর্যন্ত অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। 

Advertisement

এমনকী, মন্ত্রকের পক্ষ থেকে আমেদাবাদের এই ভয়ঙ্কর বিমাব দুর্ঘটনার কোনও সঠিক এবং নির্দিষ্ট কারণও জানানো হয়নি এখনও। তদন্ত এখনও চলছে বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। ফাইনাল রিপোর্ট আসন্ন। বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে সকলকে বিরত থাকার আর্জি জানানো হয়েছে মন্ত্রকের তরফে। 

তবে চিঠিতে সুমিত সবরওয়ালের বাবা লিখেছেন,'প্রাথমিক রিপোর্টে জানা যায়নি কী কারণে বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। নির্মানকারী সংস্থাকে একদিকে ক্লিন চিট দেওয়া হয়েছে, অন্যদিকে উপহাস করার মতো নানা তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। প্রথম থেকেই এই তদন্ত রিপোর্টে নানা খামতি রয়েছে। এটি ত্রুটিপূর্ণ এবং এতে অনেক অসঙ্গতিও রয়েছে। এমনকী, তদন্তের গোপনীয়তাও বজায় রাখা হয়নি। অনেক তথ্য ওপেন ফোরামে আনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ককপিটে দুই পাইলটের কথোপকথনও।'

পুষ্করাজ সবরওয়াল ছেলের মানসিক স্বাস্থ্যের তত্ত্ব সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়েছেন। সুমিত সবরওয়ালের এই মানসিক চাপের পিছনে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদের কথাও জল্পনায় এসেছিল। এ প্রসঙ্গে তাঁর বাবা বলেন, 'ক্যাপ্টেন সবরওয়ালের প্রায় ১৫ বছর আগে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল। এমনকী ওর মায়ের মৃত্যুর কারণেও অবসাদে ভুগছিল বলে জল্পনা রটেছে। ওর মা ৩ বছর আগে গত হয়েছে। মায়ের মৃত্যুর পরও কমপক্ষে ১০০ ফ্লাইট চালিয়েছে ও। না কোনও দুর্ঘটনা ঘটেছে, না কোনও জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ওর জীবনের ২৫ বছরের কেরিয়ারে আজ পর্যন্ত একটা ছোট দুর্ঘটনাও ঘটেনি। ১৫ হাজার ৬৩৮ ঘণ্টারও বেশি সময়ে উড়ানের অভিজ্ঞতা রয়েছে ওর। তার মধ্যে ৮ হাজার ৫৯৬ ঘণ্টা কেবল ৭৮৭-৮ এয়ারক্রাফ্টই চালিয়েছে। লাইন ট্রেনিং ক্যাপ্টেন হিসেবে ও প্রশিক্ষণও দিত এবং DGCA লাইসেন্সও ছিল প্রশিক্ষণের জন্য।' 

 

POST A COMMENT
Advertisement