আহমেদাবাদের মেঘানিনগরের মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালের হস্টেলে মুখ থুবড়ে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার AI171 বিমানটি। দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে আগুন। আর সেই মারণ আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় স্থানীয় বেশ কয়েক জন বাসিন্দার। মৃতের তালিকায় রয়েছে মেঘানিনগরের চা-এর মহিলা দোকানির ১৬ বছরের ছেলেও। মা-এর চোখের সামনেই ঝলসে মৃত্যু হয় সন্তানের।
দুপুর বেলা গ্রাহক কম ছিল। মা সীতাবেনের চা-এর দোকানেই শুয়ে ছিল ছেলে আকাশ। ঠিক সে সময়েই বিকট শব্দ করে আছড়ে পড়ে বিমান। আগুন জ্বলে ওঠে এলাকায়। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আগুন। সীতাবেনের গায়ে আগুন লেগে যায়। তারপরও ছেলেকে বাঁচাতে উদভ্রান্তের মতো ছোটেন তিনি। তবে ততক্ষণে আগুনের গ্রাসে চলে গিয়েছে নাবালক। কিছুতেই মৃত্যুমুখ থেকে ফেরাতে পারেনি সন্তানকে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে খবর।
প্রত্য়ক্ষদর্শীরা বলছেন, গরমকালের দুপুরবেলা যেন আকাশ থেকে আগুনের গোলা নেমে এসেছিল সেদিন। দাউ দাউ করে জ্বলছিল মেডিক্যাল কলেজ হস্টেলের আশপাশের এলাকা। কেবলমাত্র ড্রিমলাইনার বিমানটির যাত্রীরাই নয়, ঘটনার অভিঘাতে মৃত্যু হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত হস্টেল এবং আশপাশের এলাকার একাধিক মানুষ। কাজে ব্যস্ত থাকা স্থানীয় মানুষ জন ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে আগুনে।
জানা যাচ্ছে, ২৪১ জন বিমান যাত্রী সহ এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৪। যদিও জানা গিয়েছে, এই তথ্য অসমর্থিত সূত্রে প্রাপ্ত। সরকারি ভাবে এখনও মৃতের সংখ্যা জানা যায়নি।