Ahmedabad Air India Plane Crash: 'ফুয়েল কাটঅফ...' ভেঙে পড়ার আগে বিমানের দুই পাইলটের শেষ কথায় চাঞ্চল্য; এল প্রাথমিক রিপোর্ট

আমেদাবাদে ভেঙে পড়া এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটির দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। ভারতের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো (AAIB) দুর্ঘটনার রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছে। রিপোর্টে জানা যায়, ওড়ার মাত্র কয়েক সেকেন্ড পরেই দু'টি ইঞ্জিন হঠাৎ করে নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তৎক্ষণাৎ ভেঙে পড়ে বিমানটি। 

Advertisement
'ফুয়েল কাটঅফ...' ভেঙে পড়ার আগে বিমানের দুই পাইলটের শেষ কথায় চাঞ্চল্য; এল প্রাথমিক রিপোর্টপ্রয়াত পাইলট সুমিত সাভারওয়াল-কো-পাইলট ক্লাইভ কুন্ডার

আমেদাবাদে ভেঙে পড়া এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটির দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। ভারতের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো (AAIB) দুর্ঘটনার রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছে। রিপোর্টে জানা যায়, ওড়ার মাত্র কয়েক সেকেন্ড পরেই দু'টি ইঞ্জিন হঠাৎ করে নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তৎক্ষণাৎ ভেঙে পড়ে বিমানটি। 

AAIB-এর ১৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন অনুসারে, বিমানটি সর্বোচ্চ ১৮০ নটস গতিতে আকাশে উড়ে যায়। এর পরপরই, ইঞ্জিন-১ এবং ইঞ্জিন-২ এর জ্বালানি কাট-অফ সুইচগুলি (যা ইঞ্জিনগুলিতে জ্বালানি পাঠায়) 'RUN' থেকে 'CUTOFF' অবস্থানে সরে যায়। তাও মাত্র ১ সেকেন্ডের ব্যবধানে, যার ফলে ইঞ্জিনগুলিতে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। উভয় ইঞ্জিনের N1 এবং N2 ঘূর্ণন গতি দ্রুত হ্রাস পেতে শুরু করে।

দুই পাইলটের মধ্যে কী কথা হয়েছিল?
এই সময়, দুই পাইলটের মধ্যে কথোপকথন হয়। একজন পাইলট জিজ্ঞাসা করেন, আপনি জ্বালানি বন্ধ করে দিলেন কেন? এর উত্তরে অন্য পাইলট উত্তর দেন, আমি করিনি। ব্যস... এর কয়েক সেকেন্ড পরেই বিমানের গতি কমতে শুরু করে। বিমানটি মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে ধাক্কা খায়। এটি কেবল প্রযুক্তিগত ত্রুটিরই ইঙ্গিত দিচ্ছে না। বরং ককপিটে শেষ কথোপকথনটি অনেক নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। 

রিপোর্টে আরও জানা গেছে, ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে ইঞ্জিন বন্ধ হওয়ার বিষয়ে পাইলট এবং কো-পাইলটের মধ্যে কথোপকথন রেকর্ড করা হয়েছিল। তাতে, পাইলট সুমিত সাভারওয়াল তাঁর কো-পাইলট ক্লাইভ কুন্ডারকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন - 'ইঞ্জিনের জ্বালানি বন্ধ করে দিলেন কেন?' এর জবাবে, কো-পাইলট ক্লাইভ কুন্ডার বলেন, 'আমি কিছুই করিনি।' এই কথোপকথন এই দুর্ঘটনার রহস্য বাড়িয়ে তুলেছে। কারণ উভয় পাইলটই ইঞ্জিন বন্ধ করার কথা অস্বীকার করেছেন। তবে কীকরে দু'টি ইঞ্জিনই বিকল হল? রিপোর্টে এও বলা হয়, এখনও পর্যন্ত তদন্তে এমন কিছু পাওয়া যায়নি যার জন্য বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমান বা এর ইঞ্জিন প্রস্তুতকারী সংস্থাকে কোনও সতর্কতা জারি করার প্রয়োজন হবে।

Advertisement

ইঞ্জিন রিলাইট করার চেষ্টাও ব্যর্থ হয়
রিপোর্ট অনুসারে, উভয় ইঞ্জিনেই রিলাইট করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। ইঞ্জিন-১ কিছুটা পুনরুদ্ধার করতে শুরু করেছিল। কিন্তু ইঞ্জিন-২ সম্পূর্ণরূপে গতি পুনরুদ্ধার করতে পারেনি। এই সময়ের মধ্যে APU (অক্সিলিয়ারি পাওয়ার ইউনিট)ও অটোস্টার্ট মোডে সক্রিয় হয়েছিল, কিন্তু তাও বিমানকে স্থিতিশীল করতে পারেনি।

বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে জানা যায় যে, ওড়ার পরপরই বিমানের ব়্যাম এয়ার টারবাইন (RAT) অর্থাৎ জরুরি পাখাটি বেরিয়ে আসে। সাধারণত, বিমানের বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা হলেই RAT বের হয়। এর অর্থ হল ইঞ্জিন বন্ধ থাকার কারণে বিমানের মূল বিদ্যুৎ সরবরাহও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। র‍্যাম এয়ার টারবাইন হল একটি ছোট প্রপেলার-সদৃশ যন্ত্র যা উভয় ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেলে, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে বা হাইড্রোলিক ব্যর্থতা দেখা দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যায়। এটি বিমানকে উচ্চতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। RAT জরুরি শক্তি উৎপন্ন করতে বাতাসের গতি ব্যবহার করে।

EAFR থেকে প্রাপ্ত তথ্য
বিমানের সামনের দিকে থাকা EAFR (এক্সটেন্ডেড এয়ারফ্রেম ফ্লাইট রেকর্ডার) থেকে তথ্য সফলভাবে বের করা হয়েছে। তবে, পিছনের রেকর্ডারটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রিপোর্টে বোয়িং বা জিই ইঞ্জিন প্রস্তুতকারককে এখনও কোনও সতর্কতা বা পরামর্শ জারি করা হয়নি, কারণ দুর্ঘটনার আসল কারণ এখনও তদন্তাধীন।

POST A COMMENT
Advertisement