বিহার বিধানসভা ভোটের আগে আবার চমক আসাদউদ্দিন ওয়েইসির। এ বার তাঁর দল All India Majlis-e-Ittehadul Muslimeen (AIMIM) নতুন জোট গড়ে তুলল বিহারে। একটি সাংবাদিক বৈঠক করে নতুন জোটের বিষয়টি সামনে আনেন পার্টির রাজ্য সম্পাদক আখতারুল ইমান। তিনি জানান, বর্তমানে এই জোটে মিম ছাড়াও আজাদ সমাজ পার্টি এবং স্বামী প্রসাদ মৌর্যের জনতা পার্টি রয়েছে।
কতগুলি আসনে লড়বে এই জোট?
আখতারুল ইমান জানিয়েছেন যে বিহারে মোট ৩৩টি সিটে লড়তে চলেছে এই মিম। আজাদ সমাজ পার্টি লড়বে ২৫ সিটে এবং স্বামী প্রসাদ মৌর্যের জনতা পার্টি লড়বে ৪ সিটে। এই জোট মানুষের কাছে নতুন বিকল্প তুলে দেবে বলেই দাবি করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, 'ক্ষমতায় থাকা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। তবে আমরা দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।' তিনি আরও জানান, প্রার্থী তালিকা ইতিমধ্যেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে শীঘ্রই ঘোষণা হবে।
নতুন ফ্রন্ট তৈরি হল বিহারে
এতদিন এনডিও এবং বিরোধী মহাগঠবন্ধন জোট নিয়েই আলোচনা ছিল তুঙ্গে। তবে এরই মাঝে চমক দিল মিম। তারা নতুন একটি অ্যালাইন্স গড়ে তুলল।
আসলে বেশ কিছু দিন ধরেই বিহারে নিজের শক্তি বাড়াচ্ছে মিম। বিশেষত, কৃষাণগঞ্জ, কাটাহার এবং আরারিয়ার মতো মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় ভীষণই শক্তিশালী তারা। এখানে ২০২০ সালের ভোটেও ভালো ফল করে মিম। জেতে ৫টি সিটে। তবে ২০২২ সালে হয় ছন্দপতন। ৫ জনের মধ্যে ৪ এমএলএ যোগ দেয় আরজেডি-তে।
তবে তারপরও ভেঙে পড়েনি মিম। বরং বেড়েছে শক্তি। তাই এই সব জায়গায় তাঁরা ভোটে ভালো প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
কেন হিন্দু নেতারাও মিমের সঙ্গী?
এর পিছনে একাধিক অঙ্ক দেখতে পারছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাঁদের মতে, এমনটা হওয়ার পিছনে বিরোধীরে ভোট ভাগ করার একটা খেলা থাকতে পারে। অর্থাৎ আরজেডি এবং কংগ্রেসের জোটকে বেগ দিতেই এই জোট। যার ফলে আদতে লাভ হবে বিজেপি এবং নীতীশ কুমারের। ভোট কাটাকাটির জেরে এনডিএ জোট সহজেই ক্ষমতা দখল করতে পারে। আর সেই কারণেই বিজেপিই পিছনে দাঁড়িয়ে মিমের পাশাপাশি অন্য দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে অন্য একটা জোট তৈরিতে সাহায্য করছে বলে অভিযোগ বিশেষজ্ঞদের।
যদিও এই সব কথা শুনতে একবারেই রাজি নয় মিম। বরং তারা নিজেদের শক্তি বাড়ানোর জন্যই এই জোট গড়ে তুলছে বলে জানা গিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গেও লড়বে মিম
শুধু বিহার নয়, শোনা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গেও ঝাঁপাবে মিম। তাঁরা অধিকাংশ আসনে প্রার্থী দেবে। এতে মুসলিম ভোট ভাগ হওয়ার রয়েছে আশঙ্কা। যার ফলে তৃণমূল কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যেতে পারে। যদিও এগুলি সবই সম্ভবনা। বাস্তাব পরিস্থিতি কী হবে, সেটা কেউই জানে না।