File Photoপাকিস্তান সীমান্তের কাছে ভারতীয় বায়ুসেনার মিলিটারি ড্রিল। ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি হয়েছে (NOTAM)। আজ ভূ-গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞ ড্যামিয়েন সাইমন এই তথ্য দিয়েছেন। যদিও এই মহড়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনও জনসমক্ষে আনা হয়নি। তবে এই মহড়া চলাকালীন সংশ্লিষ্ট এলাকার আকাশসীমা সীমিত থাকবে। পহেলগাঁও হামলার পর কাল দেশজুড়ে মক ড্রিল হবে। এই আবহে বায়ু সেনার মহড়া খুব ইঙ্গিতপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা।
জানা যায়, রাফাল, মিরাজ ২০০০ এবং সুখোই-৩০ এর মতো ফ্রন্টলাইন যুদ্ধবিমানগুলো এই মহড়ায় অমংশ নেবে। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের মরুভূমি অঞ্চলের উপর দিয়ে উড়বে। আকাশ থেকে কীভাবে যুদ্ধ করা যাবে, স্থলভাগে কীভাবে আক্রমণ করা যাবে-এই সব বিষয় মহড়ার মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হবে। এই মহড়াতে বায়ু সেনার শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। তাঁরাই পর্যবেক্ষণ করবেন।
NOTAM কী?
NOTAM সাধারণত তখন জারি করা হয় যখন বিমান বাহিনী একটি নির্দিষ্ট আকাশসীমায় অনুশীলন করে। তবে এবারের NOTAM-এর তাৎপর্য আলাদা। সূত্রের খবর, এই মহড়া চলবে প্রায় পাঁচ-সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা। ওই সময়ে ওই এলাকার বিমানবন্দরগুলিতে বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখা হবে।
যদিও এর আগেও সামরিক মহড়া করেছে ভারত। পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা হয় ২২ এপ্রিল। তারপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পহেলগাঁও হামলার পরপরই ২৫ এপ্রিল ভারতীয় বিমান বাহিনী এবং নৌবাহিনী যৌথ সামরিক মহড়া চালায়।
বুধবার আপৎকালীন বা যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য সাধারণ মানুষকে প্রস্তুত করতে মহড়া চলবে একাধিক রাজ্য়ে। সেজন্য মঙ্গলবার দিনভর দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই মহড়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। একাধিক স্কুলেও মহড়াও চলবে। এই মহড়া নিয়েই রাজ্যগুলির স্বরাষ্ট্রসচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন।
এর আগে এই ধরনের মহড়া হয়েছিল সেই ১৯৭১ সালে। সেবার ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় আপৎকালীন মহড়া করা হয়েছিল দেশজুড়ে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ কীভাবে আত্মরক্ষা করবে, কোনও বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পড়লে কোন সিদ্ধান্ত আগে নেবে- এই সব থাকবে সিভিল ড্রিলে।