ঠিক কী কারণে আহমেদাবাদে ভেঙে পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান? প্লেন ক্র্যাশের আগে ঠিক কী ঘটেছিল বিমানে? এমন নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খেয়েছে গত ১ মাস ধরে। অবশেষে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্তের চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এল।
বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত করছে এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো বা এএআইবি। শনিবার তারা ১৫ পাতার তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শেষ মুহূর্তে ইঞ্জিন চালু করার মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন দুই পাইলট।
দুর্ঘটনার নেপথ্যে জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচের পরিবর্তনকে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। ২০১৮ সালেই বোয়িং ৭৩৭ বিমানের ক্ষেত্রে মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FAA) যে সমস্যাকে তুলে ধরেছিল, সেই সমস্যার কথাই মনে করা হচ্ছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলেছিল, কিছু বোয়িং ৭৩৭ বিমানে জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচ লকিং বৈশিষ্ট্য ছিল না। তবে তা আমল দেওয়া হয়নি।
এই সুইচগুলি বিমানের ইঞ্জিনগুলিতে জ্বালানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে। পাইলটরা মাটিতে ইঞ্জিন চালু বা বন্ধ করার জন্য এগুলি ব্যবহার করেন। মাঝ আকাশে ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেলে ইঞ্জিন বন্ধ বা পুনরায় চালু করার জন্যও এগুলি ব্যবহার করা হয়।
আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিমানটি ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দুটি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। জ্বালানির সুইচ 'রান' বা চালু থেকে 'কাটঅফ' বা বন্ধ অবস্থানে চলে এসেছিল। ৩ সেকেন্ডের মধ্যে বিমানের জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচগুলি 'RUN' থেকে 'CUTOFF' হয়ে যায়। তবে, এটি দুর্ঘটনাবশত হয়েছে না কি ইচ্ছাকৃত, তা স্পষ্ট নয়। ওই সময় এক পাইলট অন্য পাইলটকে জিজ্ঞাসা করেন, 'কেন তুমি বন্ধ (জ্বালানি) করে দিলে?' অন্য পাইলট উত্তরে বলেন, 'আমি কিছু বন্ধ করিনি।'
অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের (এমওসিএ) প্রাক্তন যুগ্ম সচিব সন্ত কৌল বলেছেন, 'আমরা পাইলটদের দোষ দিতে পারি না। তাঁরা খুব অভিজ্ঞ ছিলেন। বোয়িংয়ের সিস্টেমে কিছু গুরুতর ত্রুটি ছিল যার ফলে জ্বালানি ট্যাঙ্কগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সম্পূর্ণ তদন্তের পরেই আমরা জানতে পারব।'