দুটি ইঞ্জিনই ফেল, যান্ত্রিক ত্রুটি, জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচে ত্রুটি, নাকি অন্য কিছু? শুক্রবার বা শনিবারই সামনে আসতে পারে আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট AI 171 ভেঙে পড়ার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট। এয়ার ইন্ডিয়ার এই বিমান দুর্ঘটনা ভারতের সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনাগুলির মধ্যে একটি। সূত্রের খবর, শনিবারও প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট জমা পড়তে পারে। ভারত আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার সদস্য। নিয়ম অনুসারে, সদস্য দেশগুলিকে দুর্ঘটনার ৩০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
গত মাসের ১২ তারিখ লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং 787 ড্রিমলাইনার বিমান আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিজে মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলের উপরে ভেঙে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় ২৪১ জন যাত্রী সহ মোট ২৬০ জনের মৃত্যু হয়। এয়ারক্র্যাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB) বোয়িংয়ের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার তদন্ত করছে। এই সপ্তাহের শুরুতে একটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে ব্রিফও করা হয়েছে। সংসদীয় কমিটিকে জানানো হয়েছে যে দিল্লিতে অবস্থিত AAIB-এর ল্যাবরেটরিতে ব্ল্যাক বক্সের বিশ্লেষণ করা হচ্ছে, যা দুর্ঘটনার কার জানার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে তত্ত্ব
দুর্ঘটনার পর থেকেই এর কারণ সম্পর্কে বেশ কয়েকটি তত্ত্ব উঠে এসেছে, যা বিশ্বব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছেছে। ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে যে বোয়িং 787 ড্রিমলাইনার ওড়ার পরে লিফট বজায় রাখতে পারেনি এবং ৬২৫ ফুটের বেশি উচ্চতায় উঠতে পারেনি। বিমান বিশেষজ্ঞ প্রাক্তন মার্কিন নৌবাহিনীর পাইলট ক্যাপ্টেন স্টিভ শেইবনার ইন্ডিয়া টুডেকে বলেছেন যে দুর্ঘটনার পিছনে ইঞ্জিনের ব্যর্থতা থাকতে পারে। তিনি বলেন, ওড়ার কিছুক্ষণ পরেই র্যাম এয়ার টারবাইন (RAT) স্থাপন করা ইঞ্জিনের ব্যর্থতার দিকেই ইঙ্গিত করছে।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে আবারও যান্ত্রিক ত্রুটির কথা বলা হয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বিমানের দুটি ইঞ্জিনে জ্বালানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণকারী সুইচগুলি সম্ভবত বন্ধ ছিল। এর ফলে ওড়ার পরপরই থ্রাস্ট পাওয়া যায়নি। নানা মুনির নান মতের মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে অনেক কিছু সামনে আসতে পারে। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আসতে কয়েক সপ্তাহ বা মাস সময় লাগতে পারে।