আজ সোমবার লোকসভায় ক্রিমিনাল প্রসিডিওর (আইডেন্টিফিকেশন) বিল ২০২২ পেশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি। এর উদ্দেশ্য হল দোষী, অপরাধী ও হেফাজতে নেওয়া অভিযুক্তদের শনাক্তকরণ সংক্রান্ত সমস্ত রেকর্ড রাখা। যদি এই বিলটি সংসদে পাস হয় এবং আইনে পরিণত হয়, তবে দোষীদের শনাক্তকরণ সম্পর্কিত The Identification of Prisoners Act 1920 আইনটি বাতিল হয়ে যাবে।
নতুন আইনের প্রয়োজনীয়তা কেন?
একটি আইন থাকতেও নয়া আইনের প্রয়োজন কেন তার জবাব সংসদেই দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরীষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি। তিনি বলেন অপরাধীদের সনাক্তরণ আইন ১৯২০ সালে হয়েছিল। তারকপর থেকে ১০২ বছর কেটে গিয়েছে। ওই আইনে অনুসারে শুধুমাত্র ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ফুটপ্রিন্ট নেওয়ার অনুমতি রয়েছে।
এই বিলের প্রধান ৫টি বিষয়
১. ক্রিমিনাল প্রসিডিওর (আইডেন্টিফিকেশন) বিল ২০২২ (Criminal Procedure Identification Bill 2022) পাশ হলে প্রিজনর্স অ্যাক্ট ১৯২০ বাতিল হয়ে যাবে। পূর্বের আইন অনুয়ায়ী অপরাধীদের শুধুমাত্র ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ফুটপ্রিন্ট রেকর্ড করার অনুমতি রয়েছে।
২. ক্রিমিনাল প্রসিডিওর (আইডেন্টিফিকেশন) বিল হেফাজতে নেওয়া অভিযুক্ত ও দোষীদের সমস্ত ধরনের মাপ নেওয়ার অনুমতি দেয়।
৩. নয়া বিল অনুযায়ী, আটক, গ্রেফতার হওয়া আসামি এবং দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের পরিচয় সংক্রান্ত যাবতীয় পরিমাপ পুলিশ ও জেল কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে।
৪. বিলটি আইনে পরিণত হলে আসামিদের রেটিনা, ছবি, আঙুলের ছাপ, হাতের তালুর ছাপ, পায়ের ছাপ এবং বায়োলজিক্যাল স্যাম্পল নেওয়া যাবে।
৫. ফিজিক্যাল ও বায়োলজিক্যাল রোকর্ড ছাড়াও দোষী অপরাধীদের হাতের লেখা এবং স্বাক্ষরও রেকর্ড করা হবে।
এতে কী সুবিধা হবে?
মন্ত্রী জানান, এখন শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত ও বৈজ্ঞানিক পরিবর্তনই হচ্ছে না, অপরাধও বাড়ছে। আর তাই নয়া বিল তৈরি করা হচ্ছে। এর ফলে শুধু যে তদন্তকারী সংস্থাগলির সুবিধা হবে তাই নয়, সাজা দেওয়ার হারও বাড়বে।
আরও পড়ুন - সামনে রমজান, সৌদিতে উটের দাম নিলামে ১৪ কোটি ছুঁল, কেন?