ভাইপোর ডানা ছাঁটলেন পিসি! বহুজন সমাজ পার্টিতে (বিএসপি) বড় রদবদল করলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী। বিএসপি-তে দু'জনকে জাতীয় সংযোজক করা হয়েছে। লখনৌয়ে দলের বৈঠক ডেকেছিলেন মায়াবতী। ওই বৈঠকেই মায়াবতী রদবদলের ঘোষণা করেন। দলের সব পদ থেকে সরানো হয়েছে আকাশ আনন্দ। সম্পর্কে তিনি নেত্রীর ভাইপো। আকাশের জায়গায় ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর করা হয়েছে তাঁর বাবা তথা দলের সাধারণ সম্পাদক আনন্দ কুমারকে। সেই সঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ রামজি গৌতমকেও আনা হয়েছে ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর পদে।
এ দিন লখনৌয়ের বৈঠকে ছিলেন মায়াবতী, জাতীয় সহ-সভাপতি তথা মায়াবতীর ভাই আনন্দ, দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক সতীশচন্দ্র মিশ্র এবং রাজ্যসভার সাংসদ রামজি গৌতম। বৈঠকে আকাশ আনন্দ ছিলেন না।
আকাশকে উত্তরসূরি ঘোষণা করেছিলেন
গত বছরের মে মাসে মায়াবতী নিজের ভাইপো আকাশ আনন্দকে বহুজন সমাজ পার্টির জাতীয় সংযোজকের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। তার আগে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বিএসপি সুপ্রিমো আকাশকে নিজের উত্তরসূরী হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের মাঝে মঙ্গলবার মায়াবতী নিজের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন। তিনি বলেন,'অভিজ্ঞতা না থাকায় আপাতত আকাশকে কোনও দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না'।
মায়াবতী কী বললেন?
মায়াবতী বলেছেন, 'আমি যতদিন বেঁচে আছি, ততদিন কেউ দলের উত্তরসূরি হবে না। দল এবং আন্দোলনের স্বার্থে আত্মীয়স্বজনদের নেওয়ার বিরোধিতা করেননি বিএসপি-র প্রতিষ্ঠাতা কাঁশি রাম। তবে এ ক্ষেত্রে তাঁদের অন্যদের মতো দলে কাজ করতে হবে। কিন্তু দলের ক্ষতি হলে বহিষ্কার করব'
আকাশকে নিয়ে কেন এই সিদ্ধান্ত?
আকাশের রাজনৈতিক কেরিয়ার ধ্বংস করার জন্য তাঁর শ্বশুর অশোক সিদ্ধার্থ দায়ী বলে মনে করেন বিএসপি সুপ্রিম। তাঁর কথায়,'দলের স্বার্থে আকাশ আনন্দকে সমস্ত দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। এর জন্য দল নয়, বরং ওঁর শ্বশুর অশোক সিদ্ধার্থ সম্পূর্ণরূপে দায়ী। তিনি কেবল দলের ক্ষতিই করেননি, আকাশ আনন্দের রাজনৈতিক কেরিয়ারও নষ্ট করে দিয়েছেন। আনন্দ কুমার আগের মতোই দলের সমস্ত কাজ চালিয়ে যাবেন'।
আকাশ আনন্দের বিতর্কিত বক্তব্য
সীতাপুরে কেন্দ্রীয় সরকারকে 'সন্ত্রাসের সরকার' বলে অভিহিত করেছিলেন আকাশ আনন্দ। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। এছাড়া দুই-তিনটি সভায় ভাষণ দেওয়ার সময় তাঁর মুখে গালিগালাজও শোনা গিয়েছিল। তারপর বিস্তর সমলোচনাও হয়।