
বুধবার রাতে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (এএমইউ) ক্যাম্পাসে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক শিক্ষকের মৃত্যুতে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে পড়ুয়া ও কর্মীদের মধ্যে। অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীরা বাইকে করে এসে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ওই শিক্ষককে খুন করে বলে অভিযোগ।
নিহত শিক্ষকের নাম রাও দানিশ। তিনি এএমইউ-এর এবিকে ইউনিয়ন হাই স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত প্রায় ৯টা নাগাদ ক্যাম্পাসের সিভিল লাইনস থানা এলাকার মধ্যে লাইব্রেরি ক্যান্টিনের কাছে এই ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, দানিশ কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে বসে কথা বলছিলেন। সেই সময় একটি বাইকে চেপে আসে দুষ্কৃতীরা এবং খুব কাছ থেকে গুলি চালায়। তাঁর মাথায় দু’টি গুলি লাগে। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে দ্রুত জেএন মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এএমইউ-র প্রক্টর অধ্যাপক মহম্মদ ওয়াসিম আলী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির কাছে গুলিবর্ষণের খবর পেয়েই আহত শিক্ষককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার খবর পেয়ে এএমইউ-র উপাচার্য নাইমা খাতুনও মেডিকেল কলেজে পৌঁছন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।
অন্যদিকে, আলিগড়ের পুলিশ সুপার মায়াঙ্ক পাঠক জানান, ঘটনার তদন্তে একাধিক পুলিশ দল গঠন করা হয়েছে। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ব্যক্তিগত শত্রুতা-সহ সব দিক মাথায় রেখে তদন্ত চলছে। নিহত শিক্ষকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে। খুব দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে এএমইউ ক্যাম্পাসজুড়ে নেমে এসেছে শোক ও অস্থিরতার ছায়া। পড়ুয়া ও শিক্ষক মহলে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।