ধর্মান্তকরণ না করিয়ে ভিন ধর্মে বিয়ে করা বেআইনি, পর্যবেক্ষণে এমনই জানাল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এক নাবালিকাকে অপহরণ করা এবং আর্য সমাজ মন্দিরে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে করার অভিযোগ নিয়ে দায়ের হয় এক মামলা। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন শনিবার এ হেন পর্যবেক্ষণ করে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
মামলাকারী সোনু ওরফে শাহনুর তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁর দাবি, ওই মেয়েটিকে বিয়ে করেছেন তিনি। মেয়েটি নাবালিকা নন। আর্য সমাজ মন্দিরে সমস্ত নিয়ম রীতি মেনে তাঁদের বিয়ে হয়েছে এবং তাঁরা বাকি জীবনটাও একসঙ্গেই কাটাবেন।
মামলা ওঠে বিচারক প্রশান্ত কুমারের এজলাসে। যুবকের দাবি খারিজ করে দেন তিনি। একইসঙ্গে পর্যবেক্ষণে জানান, আর্য সমাজ মন্দিরে হওয়া বিয়ের যে সার্টিফিকেট দেখানো হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় মেয়েটি নাবালিকা এবং আইনের চোখে এটি অপরাধ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ করতেও রাজি হননি বিচারক। অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে নাবালিকাকে ফুঁসলিয়ে জোর করে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ রয়েছে।
আর্য সমাজ মন্দিরের মতো প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরেই এই ধরনের বিয়েতে মান্যতা দিয়ে সার্টিফিকেট ইস্যু করে চলেছে। এই বিষয়টি নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারক। কোনও আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কিছু টাকার বিনিমনে বিয়ের সংশাপত্র দেয় এরা। এটিও আইনবিরুদ্ধে বলে জানান বিচারক।
ধর্মান্তকরণ ছাড়া ভিন ধর্মের যুবক-যুবতীদের বিয়ের সংশাপত্র ইস্যু করার বিষয়টি নিয়ে আর্য সমাজ মন্দিরের মতো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র সচিবকে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আর এই তদন্ত হবে একজন DCP পদমর্যাদার আধিকারিকের তত্ত্বাবধানে। আগামী ২৯ অগাস্ট এই বিষয়ে সম্পূর্ণ রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়েছে।
এই মামলাটি মহারাজগঞ্জ জেলার অন্তর্গত নীচলাউল থানায় দায়ের হয়েছিল। অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে POCSO-তে মামলা রুজু হয়।