পাকিস্তানি গুপ্তচর সন্দেহে ধৃত CRPF জওয়ান সম্পর্কে প্রকাশ্যে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, জঙ্গি হামলার ঠিক ৬ দিন আগেই পহেলগাঁও-এর ডিউটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাকে। অভযুক্ত এই অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর মোতিরাম জাটের পোস্টিং ছিল পহেলগাঁওয়ে ১১৬ নম্বর ব্যাটেলিয়নে।
দিল্লি থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে NIA। তদন্তকারীদের দাবি, পাকিস্তানের ইন্টালিজেন্স অফিসারদের ভারতের গোপন তথ্য পাচার করছিল সে। ২০২৩ সাল থেকেই টাকার বিনিময়ে এই কাজ করে আসছিল এই CRPF জওয়ান। ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানা স্পর্শকাতর তথ্য, সেনার গতিবিধি এবং নানা লোকেশন সম্পর্কিত খুঁটিনাটি তথ্যও পাকিস্তানে পাচার করেছে বল দাবি তদন্তকারীদের। গুরুত্বপূর্ণ সেনাঘাঁটি সম্পর্কেও তথ্য পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
গ্রেফতারের পর চাকরিও খোয়া গিয়েছে CRPF জওয়ানের। সে একাই এই কাজে জড়িত না তার পিছনে কোনও বড় নেটওয়ার্ক রয়েছে, সেটিও খতিয়ে দেখছে NIA। সর্বোপরি পহেলগাঁওয়ের নৃশংস জঙ্গি হামলার নেপথ্যে এই জওয়ানের কোনও ভূমিকা রয়েছে কি না, তা নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তার নানা কার্যকলাপের জেরেই সন্দেহ তীব্র হয় সেনার। প্রোটোকলের বাইরে গিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা পোস্ট করছিল মোতিরাম জাট।
CRPF-এর তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে এই ধৃত জওয়ানকে। CRPF-এর নিয়মের পরিপন্থী তার কার্যকলাপ ফলে এই মুহূর্ত থেকেই তাকে বহিষ্কার করা হচ্ছে।
সোমবারই স্পেশাল কোর্টে তোলা হলে মোতিরাম জাটকে আগামী ৬ জুন পর্যন্ত NIA হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি করার অভিযোগে গত কয়েক দিনে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং পঞ্জাব থেকে মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই তালিকাতেই রয়েছে জনপ্রিয় ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা। তার ইউটিউবে ৩.৭৭ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। ইনস্টা ফলোয়ারের সংখ্যা ১.৩৩ লক্ষ। এছাড়াও পঞ্জাব থেকে গ্রেফতার হয়েছে গুজালা। পাকিস্তানি অফিসার এশান-উর-রহমান ওরফে দানিশের সঙ্গে যোগাসাজশ ছি এই দু'জনেরই। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস থেকেই পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি করছিল তারা, অভিযোগ এমনটাই। গত ১৩ মে দানিশকে পাকিস্তানি দূতাবাস থেকে বরখাস্ত করে ভারত।