West Bengal-Sikkim Atal Setu: পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিকিম পর্যন্ত তৈরি হয়েছে দেড় কিলোমিটার লম্বা অটল সেতু। পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের মধ্যে সংযোগকারী এই অটল সেতু। সেতু এ রাজ্যের কালিম্পং থেকে সিকিমে ঢুকেছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু গ্যাংটক থেকে ভার্চুয়ালি সেতুটির উদ্বোধন করবেন।
বিকল্প রাস্তায় স্বস্তির নিঃশ্বাস
তিস্তাবাজার হয়ে কালিম্পংয়ের ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে রংপো নদীর ওপর পুরনো ব্রিজ ধরে সিকিম পৌঁছনোই হোক বা উল্টো পথ ধরে শিলিগুড়ি আসা। ব্রিজ সরু হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে নাজেহাল হয়ে যাচ্ছিলেন মানুষজন। ধস নামলে তো কথাই নেই। রাস্তা বন্ধ। ডুয়ার্স হয়ে ঘুরে যেতে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা বাড়তি সময় লাগছিল। এই সেতু যেমন বিকল্প তৈরি করে দেবে, পাশাপাশি যানজটে সময় নষ্ট হবে না। গতি বাড়বে যাতায়াতের।
আরও পড়ুনঃ ডুয়ার্সে নতুন বেড়ানোর জায়গা লালপুল, রইল থাকা-খরচের হদিশ
কোন পথে বিকল্প রাস্তাটি?
তিস্তা নদীর পাশ ঘেঁষে রংপো নদীর ওপর দিয়ে এই সেতু যুক্ত করেছে পশ্চিমবঙ্গের রংপো ও সিকিমের রংপোকে। সেতু তৈরি শুরু হয় ২০১৭-য়। নির্মাণ কাজ ২০২০-তে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনায় আটকে পড়ে কাজ। এই বছর শেষ হয়েছে সেতুর কাজ। খরচ পড়েছে আনুমানিক ৫৬ কোটি টাকা।
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’ (HHTDN) এর সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘নতুন সেতু অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে। এটা একটা মাস্টারপ্ল্যান। যা বাস্তবে রূপায়িত হল। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বাংলা থেকে সিকিমে প্রবেশের মুখে যানজটে শুধুমাত্র পর্যটকেরাই নয়, সাধারণ মানুষেরাও অতিষ্ঠ ছিল। তবে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ককে ডবল লেন করে তোলা হলে ভোগান্তি থেকে সম্পূর্ণভাবে রেহাই মিলবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুনঃ দার্জিলিঙে বহুতল ভাঙছে পুরসভা, কেন?
তবে এই সেতু চালু হলে অনেকেই আর রংপোর সরু রাস্তা ব্যবহার করবেন না বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। রংপো দিয়ে যাতায়াতের বাজারের এই পুরনো সেতুকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে বাজার ও শহর। এখানকার ব্যবসাও পুরোপুরি পর্যটক নির্ভর। তবে সেবক-রংপো সেতু তৈরি হলে এই বাজার আবার জমজমাট হয়ে যাবে বলে মনে করছেন অনেকেই। কারণ সেবক থেকে সিকিমে রেলের এন্ট্রি স্টেশন তৈরি হচ্ছে রংপোতেই।