Amit Shah: 'হয় এঁদের সামলান, না হলে...' সংসদে মেজাজ হারিয়ে অগ্নিশর্মা শাহর হুঁশিয়ারি

লোকসভায় মেজাজ হারিয়ে ফেললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বেজায় ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন তিনি। কেন তাঁরা দেশের বিদেশমন্ত্রীর ভাষণের সময়ে বারবার হট্টগোল পাকাচ্ছে তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন।

Advertisement
'হয় এঁদের সামলান, না হলে...' সংসদে মেজাজ হারিয়ে অগ্নিশর্মা শাহর হুঁশিয়ারিঅমিত শাহ
হাইলাইটস
  • মেজাজ হারালেন অমিত শাহ
  • কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিলেন
  • জয়শঙ্করের ভাষণের সময়ের এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল

লোকসভায় মেজাজ হারালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিরোধী শিবিরের বিরুদ্ধে উগরে দিলেন ক্ষোভ। কেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের উপর বিরোধীদের ভরসা নেই, তা নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানান তিনি। আসন ছেড়ে উঠে, বিরোধীদের দিকে আঙুল তুলে, উচ্চ কণ্ঠে তীব্র আক্রমণ করতে দেখা গেল তাঁকে। সেই মুহূর্তের ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। 

ঠিক কী ঘটেছিল লোকসভায়?
বারবার ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতিতে নিজের অবদান জাহির করে কৃতিত্বের দাবি করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানায় বিরোধীরা। সেই মর্মেই লোকসভায় 'অপারেশন সিঁদুর' ডিবেটে ভাষণ রাখতে গিয়ে এস জয়শঙ্কর হট্টগোলের মুখোমুখি হন। এস জয়শঙ্কর দাবি করেন ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার পর থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে কোনও কথোপকথন হয়নি। তাঁর এই দাবি নিয়ে আপত্তি তুলে সরব হন বিরোধী সাংসদরা। 

সে সময়েই আচমকা মেজাজ হারিয়ে ফেলেন ট্রেজারি বেঞ্চে বসে থাকা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে ক্ষুব্ধ অমিত শাহকে বলতে শোনা যায়, 'নিজের দেশের বিদেশমন্ত্রীকে ভরসা করেন না আপনারা? অন্য দেশের উপর ভরসা রয়েছে? ওদের পার্টিতে বিদেশের গুরুত্ব কতটা সেটা আমি বুঝি। তার মানে তো এটা নয়, ওদের পার্টির সমস্ত বিষয়গুলি সংসদেও চাপিয়ে দেবে। এই কারণেই এরা বিরোধী বেঞ্চে বসে রয়েছেন। আগামী ২০ বছর পর্যন্ত ওখানেই বসে থাকবে।'

এদিকে, এস জয়শঙ্কর বারবার লোকসভায় উল্লেখ করেন, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতিতে কোনও ভূমিকা নেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের। তিনি আবারও বলেন, 'আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করেছিলেন। দাবি করেছিলেন, পাকিস্তানের তরফে বড়সড় হামলা চালানো হতে পারে। তাতে মোদীজি জানিয়েছিলেন, ভারত হামলার মোকাবিলা এবং পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত।' ৯ এবং ১০ মে পাকিস্তানের তরফে সমস্ত রকমের হামলা শক্তিশালী ভাবে মোকাবিলা করা হয়েছিল। একইসঙ্গে বিদেশমন্ত্রীর দাবি, পাকিস্তানের DGMO ভারতের DGMO-কে ফোন করে সংঘর্ষবিরতির আর্জি জানান, তারপরই এই বোঝাপড়া হয় দুই দেশের মধ্যে। 

Advertisement

অমিত শাহ সেই সময়েই বলে ওঠেন, 'যখন কোনও নেতা কথা বলেন, আমরা ধৈর্য ধরে চুপ করে তা শুনি। কাল আমি গুনে গুনে বলব কত মিথ্যা ওরা বলেছে। দেখি কেমন সত্য সহ্য করতে পারে ওরা। স্পিকার সাহেব হয় আপনি এদের হট্টগোল করা থেকে আটকান না হলে আমিও কিন্তু আমার সদস্যদের আটকাতে পারব না।'

 

POST A COMMENT
Advertisement