
আগামী ১১ নভেম্বর বিহারে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। তার আগে শনিবার পূর্ণিনায় প্রচার করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রচার ভাষণে ফের একবার অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতে সরব হন তিনি। অনুপ্রবেশকারীরা কোনওদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী কিংবা কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করতে পারবে না, সাফ বক্তব্য অমিত শাহের।
এদিন ইন্ডিয়া টুডে-র মুখোমুখি হয়ে অমিত শাহ বলেন, 'আমাদের প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা অনুপ্রবেশকারীদের নির্বাচন করতে দেব না। অনুপ্রবেশকারীরা জাতীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রে বড়সড় আশঙ্কা। রাহুল এবং লালুর দল ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করতে পারে তবে আমাদের জন্য বিহার সীমান্ত লাগোয়া এলাকাগুলির নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।' তাঁর সংযোজন, 'সমস্ত অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিত করে, ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে নিজেদের দেশে পাঠানো হবে।'
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বাংলায় SIR এ কারও নাম বাদ গেলে তিনি আন্দোলন করবেন। সেই প্রশ্নের জবাবে অমিত শাহ আগেই বলেছিলেন, 'বিহারেও তো একই হুমকি দেওয়া হয়েছিল। কী হয়েছে? সবাই তো কাগজ জমা দিয়েছেন। ভোটও হবে। বাংলাতেও হবে। প্রথমে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা হবে। তারপর এদের ভোটার তালিকা থেকে ডিলিট করা হবে। সবশেষে নির্বাসিত করা হবে। এটা দলের ঘোষিত লক্ষ্য। যাদের নাম বাদ যাবে, বা যারা অনুপ্রবেশকারী তাদের কোথায় পাঠানো হবে, কীভাবে পাঠানো হবে, সেটা সময়ই বলবে। আপনারা শুধু দেখতে থাকুন।'
SIR এর বিরোধিতা করেছেন রাহুল গান্ধী। সেই প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, 'দেশে SIR এই প্রথমবার হচ্ছে না। ১৯৫৩ সালে প্রথমবার হয়। অর্থাৎ রাহুল গান্ধীর ঠাকুমার বাবা, ঠাকুমা, বাবা ও মায়ের সময় SIR হয়েছে। রাহুল গান্ধী হয়তো এই সত্যিটা জানেন না। SIR হল ভোটার তালিকার শুদ্ধিকরণ। যখন ১০ থেকে ১৫ সাল হয়ে যায় তখন অনেকে মারা যান, অনেকে অন্যত্র চলে যান। তাঁদের হয়তো দু জায়গার ভোটার তালিকায় নাম থাকে। সেটার তো সংশোধন দরকার। রাহুল গান্ধীকে আমি এটা প্রশ্ন করতে চাই, সেই শুদ্ধিকরণ হওয়া প্রয়োজন কি না।'