বিহারে SIR শুরু হওয়ার আগে হুমকি দিয়েছিল INDIA জোট। তবে নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে তাদের কাজ সম্পন্ন করেছে। অনেকের নাম বাদ গিয়েছে। বাংলাতেও হবে। সেখানে ভোটও হবে, যেভাবে বিহারে হচ্ছে। পঞ্চায়েত আজতক বিহারের মঞ্চে মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বাংলায় SIR এ কারও নাম বাদ গেলে তিনি আন্দোলন করবেন। সেই প্রশ্ন শাহকে করা হলে তিনি বলেন, 'বিহারেও তো একই হুমকি দেওয়া হয়েছিল। কী হয়েছে? সবাই তো কাগজ জমা দিয়েছেন। ভোটও হবে। বাংলাতেও হবে।' তারপরই তাঁর সংযোজন, 'প্রথমে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা হবে। তারপর এদের ভোটার তালিকা থেকে ডিলিট করা হবে। সবশেষে নির্বাসিত করা হবে। এটা দলের ঘোষিত লক্ষ্য। যাদের নাম বাদ যাবে, বা যারা অনুপ্রবেশকারী তাদের কোথায় পাঠানো হবে, কীভাবে পাঠানো হবে, সেটা সময়ই বলবে। আপনারা শুধু দেখতে থাকুন।'
SIR এর বিরোধিতা করেছেন রাহুল গান্ধী। সেই প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, 'দেশে SIR এই প্রথমবার হচ্ছে না। ১৯৫৩ সালে প্রথমবার হয়। অর্থাৎ রাহুল গান্ধীর ঠাকুমার বাবা, ঠাকুমা, বাবা ও মায়ের সময় SIR হয়েছে। রাহুল গান্ধী হয়তো এই সত্যিটা জানেন না। SIR হল ভোটার তালিকার শুদ্ধিকরণ। যখন ১০ থেকে ১৫ সাল হয়ে যায় তখন অনেকে মারা যান, অনেকে অন্যত্র চলে যান। তাঁদের হয়তো দু জায়গার ভোটার তালিকায় নাম থাকে। সেটার তো সংশোধন দরকার। রাহুল গান্ধীকে আমি এটা প্রশ্ন করতে চাই, সেই শুদ্ধিকরণ হওয়া প্রয়োজন কি না।'
INDIA জোট অনুপ্রবেশকারীদের ভোটব্যাঙ্ক নষ্ট করতে চাইছে না, সেজন্য SIR এর বিরোধিতা করছে। দাবি করেন শাহ। তাঁর কথায়, 'রাহুল গান্ধীরা বিরোধিতা করছে কারণ ২০০৩ সালের পরে অনেক অনুপ্রবেশকারী বেআইনি ভাবে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে সক্ষম হয়েছে। যারা বাংবলাদেশ থেকে এসেছে বা অন্য দেশ থেকে এসেছে তারা কি ভোটাধিকার পেতে পারে? পারে না। এটা তো দেশের আইন, সংবিধানই ঠিক করে দিয়েছে। সেই মোতাবেক কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। তাহলে ভুলটা কোথায় হচ্ছে? আইন মোতাবেক যাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি ও এখানকার বাসিন্দা তারাই ভোটাধিকার পাবে। সেটাই তো করা হচ্ছে। তবে পুরো INDIA জোটের প্রধান সমস্যা হল, সীমান্তবর্তী এলাকার বহু মানুষ বেআইনিভাবে ভোটাধিকার পেয়েছে। তারা ওদের ভোটব্যাঙ্ক। নাম বাদ পড়লে ভোট কম পাবে। সেজন্য প্রতিবাদ করছে।'
বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ, মুসলিমদের বেছে বেছে বাদ দেওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে। সেই প্রসঙ্গে শাহ বলেন, 'মুসলমান অথচ অনুপ্রবেশকারী হলেও তাদের কি ভোটাধিকার থাকা উচিত? শুধু মুসলমান বলে তাদের কি অন্যায় অধিকার দেওয়া উচিত? রাহুল গান্ধী তাহলে প্রকাশ্যে একথা বলুন। অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে যারা ধর্মকে আনছে তারা ভুল করছে। কারণ, অনুপ্রবেশকারীর কোনও ধর্ম হতে পারে না। তারা গণতন্ত্রের জন্য খুব বিপজ্জনক।'