ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডু ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। তিরুপতির লাড্ডুতে ঘিয়ের সঙ্গে পশুর চর্বি মেশানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মন্দিরে ঘি সরবরাহ করত আমূল, এমন দাবিও উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে এবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল আমূল।
ভারতের জনপ্রিয় ডেয়ারি সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে, তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমে কখনওই তারা ঘি সরবরাহ করেনি। এক্স হ্যান্ডল আমূলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হচ্ছে যে, তিরুপতি মন্দিরে আমূলের ঘি সরবরাহ করা হত। আমরা জানাতে চাই যে, কখনওই আমরা আমূল ঘি সরবরাহ করিনি।
আমূলের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে যে, দুধ থেকে তৈরি করা হয় আমূলের ঘি। যা আইএসও দ্বারা স্বীকৃত। সঠিক পদ্ধতিতেই এই ঘি তৈরি করা হয়।
প্রসঙ্গত, গতবছর নন্দিনী ঘি নামে একটি ব্র্যান্ডের ঘিয়ের সাপ্লাই বন্ধ করে দিয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। তিরুপতি শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের লাড্ডুর গুণমান অনেকাংশেই নির্ভর করে ঘিয়ের গুণমানের উপরে। ওই লাড্ডু প্রসাদ প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ভক্তকে বিতরণ করা হয়। তিরুপতি মন্দির কর্তৃপক্ষ প্রতি ৬ মাস অন্তর ঘি-এর টেন্ডার ডাকেন। এবং ৫ লক্ষ কেজি ঘি কেনেন প্রতি বছর।
অন্য দিকে, তিরুপতির লাড্ডু ঘিরে জোর বিতর্ক দানা বেঁধেছে। প্রসাদী লাড্ডুতে বিশুদ্ধ ঘিয়ের সঙ্গে পশুর চর্বি মেশানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। গুজরাতে সরকারি এক ল্যাবের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে এই দাবি করেছেন তিনি। এই কাণ্ডের জন্য পূর্বতন জগন্মোহন সরকারের দিকেই আঙুল তুলেছেন চন্দ্রবাবু। এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। প্রসাদী লাড্ডুতে পশুর চর্বি মিশিয়ে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই বিতর্কে অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে সবিস্তারে রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নড্ডা।