কৃষ্ণা নদী থেকে উদ্ধার দুটো প্রাচীন মূর্তি। তার মধ্যে একটি শিবলিঙ্গ। অন্যটি বিষ্ণুমূর্তি। বিষ্ণুর যে মূর্তিটি উদ্ধার হয়েছে, সেটার চারপাশে দশম অবতারের ছবি আছে। এই মূর্তির সঙ্গে অযোধ্যার রামলালার মূর্তিরও মিল রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ, এই মূর্তিতেও সেই সব বৈশিষ্ট্য আছে যেগুলো রামলালার মূর্তির মধ্যে পাওয়া গেছিল। আবার যে শিবলিঙ্গটি উদ্ধার হয়েছে, সেটিও অনেক পুরোনো বলেই মনে করা হচ্ছে।
মূর্তিদুটো উদ্ধার হয়, সেতু নির্মাণের সময়। দেবসুগুর গ্রামের কাছে সেতু নির্মাণের সময় মূর্তিটি পাওয়া যায়। খনন কার্যের সঙ্গে যুক্ত মানুষরা এই মূর্তি উদ্ধার করে। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় প্রশাসনকে। তারাই মূর্তি দুটো উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
রাইচুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্বের গবেষক ড.পদ্মজা দেশাই উদ্ধার হওয়া বিষ্ণু মূর্তি সম্পর্কে বলেন, মূর্তিটি হয়তো কোনওকালে মন্দিরের গর্ভগৃহে শোভা পেত। সম্ভবত মন্দিরের ক্ষতি করার সময় মূর্তিটিকে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। প্রত্নতাত্ত্বিকরা বিশ্বাস করেন, এই মূর্তিটি ১১ বা ১২ শতাব্দীর।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তাঁর চোখের সামনেই নদী থেকে উদ্ধার হয় বিষ্ণুর দশম অবতার মূর্তি। সেই মূর্তি প্রশাসন উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গাতে নিয়ে যায়।
কর্নাটকের প্রশাসনিক কর্তারা বুধবার জানিয়েছেন, তেলেঙ্গানা-কর্নাটক সীমানার কাছে রায়চুরে কৃষ্ণা নদীর উপর একটি সেতু তৈরি করা হচ্ছিল। সেই কাজ করার সময়ই নদী থেকে উদ্ধার হয় মূর্তি দু’টি। মূর্তি উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় যথেষ্ট হইচই পড়ে গিয়েছে। সেতু নির্মাণের কাজ কিছু ক্ষণের জন্য বন্ধ রাখতে হয়।