scorecardresearch
 

Anil Ambani vs Mukesh Ambani: দাদার থেকেও ধনী ছিলেন অনিল! কীভাবে ব্যবসায় ভাইয়ের থেকে এগিয়ে গেলেন মুকেশ? দুই দশকের Inside Story

বর্তমানে মুকেশ আম্বানি এবং অনিল আম্বানি তাদের বাবা ধিরুভাই আম্বানির ব্যবসা আলাদাভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু গত ১৫ বছরে, মুকেশ আম্বানি তার রিলায়েন্সের ব্যবসাকে সাফল্যের উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। অন্যদিকে অনিল আম্বানির ব্যবসা সমস্যায় পড়েছে।

Advertisement
মুকেশের থেকেও ধনী ছিলেন অনিল, কীভাবে বদলে গেল গল্প? মুকেশের থেকেও ধনী ছিলেন অনিল, কীভাবে বদলে গেল গল্প?

আজ অনিল আম্বানির জন্মদিন, তার বয়স এখন ৬৪ বছর। অনিল আম্বানি ৪ জুন ১৯৫৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে, অনিল আম্বানি তার বড় ভাই মুকেশ আম্বানির চেয়ে আর্থিকভাবে দুর্বল।  এমন কী হল যে ব্যবসায় এতটা পিছিয়ে পড়লেন অনিল আম্বানি, এই প্রশ্ন অনেকের মনেই রয়েছে। আসলে, মুকেশ আম্বানি এবং অনিল আম্বানি উত্তরাধিকারসূত্রে ব্যবসা করেছেন। আজ দুই ভাইই আলাদাভাবে বাবা ধিরুভাই আম্বানির ব্যবসা এগিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু গত ১৫ বছরে, মুকেশ আম্বানি তার রিলায়েন্সের ব্যবসাকে সাফল্যের উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। অন্যদিকে অনিল আম্বানির ব্যবসা সমস্যায় পড়েছে। তবে, যখন ব্যবসা দুই ভাইয়ের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়, তখন অনিল আম্বানির অবস্থান শক্ত বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে  তার ব্যবসা লোকসানে চলতে থাকে  এবং আজ তার কোম্পানিগুলো ঋণগ্রস্ত। অন্যদিকে মুকেশ আম্বানির প্রতিটি ব্যবসাই লাভজনক। বাবা ধিরুভাই আম্বানির মৃত্যুর পর দুই ভাইয়ের মধ্যে ব্যবসা ভাগ হয়ে যায়।

 বড় ব্যবসার সাম্রাজ্য উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত হয় 
প্রায় ২০০০ সালের কথা। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের ভিত্তি স্থাপনকারী ধিরুভাই আম্বানি ৭০ বছর বয়সে প্রয়াত হন। এটি ভারতীয় ব্যবসা জগতের  জন্য একটি বড় ধাক্কা ছিল। কিন্তু ধিরুভাইয়ের মৃত্যুর পর যা হল, তা হয়তো ভাবতেই পারেনি দেশের ইন্ডাস্ট্রি। মুকেশ আম্বানি এবং অনিল আম্বানি তাদের পিতা ধীরুভাই আম্বানির কাছ থেকে একটি বিশাল ব্যবসা সাম্রাজ্য উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিলেন। আশা করা হয়েছিল বাবার মৃত্যুর পর দুই ভাই মিলে রিলায়েন্সের ব্যবসার উত্তরাধিকার প্রসারিত করবে। কিন্তু তা ঘটেনি।

 দুই ভাইয়ের মধ্যে তিক্ততা
 বাবা ধিরুভাই আম্বানির মৃত্যুর পর  মাত্র দুই বছর পার হয়েছে এবং দুই ভাইয়ের মধ্যে তিক্ততা সর্বজনবিদিত হয়ে ওঠে। মুকেশ এবং অনিল আম্বানির মধ্যে অবিশ্বাসের খাদ এতটাই প্রসারিত হয়েছিল যে মা কোকিলাবেনকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল। তিনিই দুই ভাইয়ের মধ্যে ব্যবসা ভাগাভাগি করেছিলেন। কোকিলাবেন তেল শোধনাগার এবং পেট্রোকেমিক্যালের ব্যবসা মুকেশের হাতে তুলে দেন, আর অনিল টেলিকম, ফিনান্স এবং এনার্জি ইউনিট পান। এছাড়া উভয় ভাই একে অপরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা  না করার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে মুকেশ টেলিকম ব্যবসায় পা রাখবেন না, অন্যদিকে অনিল শক্তি এবং পেট্রোকেমিক্যাল থেকে দূরে থাকবেন।

আরও পড়ুন

Advertisement

মুকেশের হাত থেকে টেলিকম ব্যবসা চলে যায়
অনিল আম্বানি সমস্ত ব্যবসা পেয়েছিলেন যার জন্য  ব্যবসাকে ভাগ করতে অনড় ছিলেন। কিন্তু টেলিকম ব্যবসা যা মুকেশ আম্বানি নিজের হাতে তৈরি করেছিলেন, তার হাত থেকে বেরিয়ে যায়। কিন্তু মুকেশ তখন নীরব ছিলেন। ব্যবসা ভাগের পর শুরুতে পরিস্থিতি অনুকূল ছিল অনিল আম্বানির জন্য। কিন্তু সময় এগোতে থাকে এবং তার ব্যবসায় পতনের সময় শুরু হয়। তারপর২০০৮  সালের মন্দা তাকে একটি বড় ধাক্কা দেয়। অন্যদিকে মুকেশ আম্বানির শেয়ারে যে ব্যবসা এসেছিল তা সাফল্যের পথ ধরেছিল।

 কেন অনিলের আর্থিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে? 
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পারিবারিক ব্যবসার বিভাজনের পরপরই অনিল পুঁজি বিনিয়োগ প্রকল্পে নামতে প্রস্তুত হয়েছিলেন। অনিল আম্বানির প্রতিটি ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া কোনো কৌশল ছাড়াই প্রতিযোগিতায় ঝাঁপিয়ে পড়তে আগ্রহী ছিলেন তিনি।  ২০০৮ সালের বিশ্ব মন্দাও অনিল আম্বানিকে একটি বড় ধাক্কা দিয়েছে। একটি অনুমান অনুসারে, এই মন্দায় অনিল আম্বানির ৩১ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। এরপর অনিল আম্বানির আর্থিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।

সুযোগকে পুঁজি করে মুকেশ আম্বানি
 অন্যদিকে মুকেশ আম্বানি সাবধানে প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়েছেন। এদিকে, দুই ভাইয়ের মধ্যে অ-প্রতিদ্বন্দ্বিতার শর্তের মেয়াদ   ২০১০ সালেশেষ হয়। মুকেশ আম্বানি এটাকে সুযোগ হিসেবে নিয়েছিলেন। তিনি তখনই টেলিকম সেক্টরে প্রবেশের সিদ্ধান্ত নেন। এর প্রস্তুতিতে, তিনি পরের সাত বছরে ২.৫ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। তারপর নতুন কোম্পানি Reliance Jio Infocomm-এর জন্য একটি উচ্চ গতির 4G ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে। 

মুকেশ আম্বানির ব্যবসা সফল
মুকেশ আম্বানির এই পদক্ষেপ তাকে এক ধাক্কায় প্রতিটি গ্রামে পরিচিতি এনে দিয়েছে। এই সময়ে, মুকেশ আম্বানির শক্তি এবং পেট্রোকেমিক্যাল ব্যবসাও প্রতিদিন নতুন উচ্চতা অর্জন করেছে। আজ মুকেশ আম্বানির ব্যবসা ঝলমল করছে, কিন্তু অনিল আম্বানির কোম্পানিগুলো ঋণে ডুবে আছে। মুকেশ আম্বানি রিটেল রা খাতে ব্যবসা বাড়াচ্ছেন। এর পাশাপাশি আরও অনেক নতুন সেক্টরে প্রবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে অনিল আম্বানির কোম্পানিগুলোর কাছে ব্যাঙ্কের বিশাল ঋণ রয়েছে।

 
 

 

 

Advertisement