আনমোল বিষ্ণোই অবশেষে গ্যাংস্টার আনমোল বিষ্ণোইকে নিয়ে ভারতে অবতরণ করল বিমান। বুধবার দুপুরে দিল্লি বিমানবন্দরে নামানো হল আমেরিকা থেকে প্রত্যর্পণ হওয়া লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোলকে। জানা গিয়েছে, বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পাটিয়ালা হাউসে। সেখানেই চলবে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া।
এদিন দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পরই আনমোল বিষ্ণোইকে হেফাজতে নিয়েছে NIA। তার জন্য বিমানবন্দরেই অপেক্ষায় ছিলেন NIA অফিসাররা। মহারাষ্ট্রের রাজনীতিবিদ বাবা সিদ্দিকি হত্যা সহ একাধিক মামলায় অভিযুক্ত এই আনমোল লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের অন্যতম সদস্য। বিভিন্ন রাজ্যে ওয়ান্টেড ক্রিমিনালের তালিকায় রয়েছে সে।
আনমোলের বিরুদ্ধে ভারতে ১৮টি মামলা বিচারাধীন। ২০২২ সালে পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় তাঁর। এ ছাড়াও বাবা সিদ্দিকি খুনেও তিনি জড়িত বলে দাবি করা হয়। সেই বছর থেকেই সে দেশছাড়া। সূত্রের খবর, আমেরিকা থেকেই গ্যাং চালাচ্ছিল আনমোল। লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের ১৯তম অভিযুক্ত গ্যাংস্টার সে। NIA ২০২৩ সালে তার নামে চার্জশিট পেশ করেছিল। যেখানে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা ছিল, কীভাবে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের অন্যতম এই গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রারের সঙ্গে মিলে ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে একের পর এক অপরাধ করেছিল।
মার্কিন মুলুকে বসেই আনমোল অপরাধের সিন্ডিকেট চালাচ্ছিল আনমোল বিষ্ণোই। শুটারদের নির্দেশ দিয়েছিল, গ্যাংস্টারদের আশ্রয় দিয়েছিল, অস্ট্র এবং অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ করেছিল। পাচার চক্রও চালাচ্ছিল বিদেশে বসেই। গ্যাংস্টার, জঙ্গি এবং পাচারকারীদের নেক্সাস ভাঙতেই আনমোল বিষ্ণোইকে দীর্ঘদিন ধরে হেফাজতে চাইছিল NIA। অবশেষে সম্ভব হল সেটা। জেলে থাকাকালীনই আমেরিকায় রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদনও করেন। প্রায় এক বছর ধরে তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি হয় আমেরিকার আদালতে। একই সঙ্গে ভারতের প্রত্যর্পণের আবেদনও খতিয়ে দেখেন মার্কিন প্রশাসন। গত সপ্তাহে আনমোলের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। তার পরেই তাঁকে ভারতে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করে আমেরিকা। বুধবার প্রায় ২০০ জন অবৈধ অভিবাসীকে আমেরিকা থেকে ভারতে পাঠানো হয়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন আনমোল।