এবার রাজ্যে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন আম আদমি পার্টির প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। আগামী ২৩ তারিখ মঙ্গলবার সাক্ষাৎ হওয়ার কথা দুই মুখ্যমন্ত্রীর। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরেই মহারাষ্ট্র যাবেন আপ প্রধান। সেখানে ২৪ তারিখ উদ্ধব ঠাকরে এবং ২৫ তারিখ শরদ পাওয়ারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিন। এদিকে আজই কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেন করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সম্প্রতি রাজ্যসভায় কেন্দ্র যে অধ্যাদেশ এনেছে, সেটি রুখতেই একের পর এক বিজেপি বিরোধী নেতা নেত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন কেজরিওয়াল।
গত শুক্রবার গভর্নমেন্ট অফ ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি অফ দিল্লি (সংশোধন) অর্ডিন্যান্স (Government Of National Capital Territory Of Delhi), ২০২৩ নামে একটি অধ্যাদেশ চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে ন্যাশনাল ক্যাপিটাল সিভিল সার্ভিস অথরিটি বা এনসিসিএসএ (NCCSA) গঠন করেছে সরকার। এটি দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে ট্রান্সফার পোস্টিং, ভিজিলেন্স এবং অন্যান্য বিষয়ে সুপারিশ করবে। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে দিল্লি সরকারের আমলাদের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দিয়েছিল দিল্লির সরকারকে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও ভূমিকা ছিল না। আর তাই এই অধ্যাদেশ নিয়ে আপত্তি তুলেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর মতে, কেন্দ্রীয় সরকারের এই নয়া অধ্যাদেশ, সুপ্রিম কোর্টের রায় লঙ্ঘনকারী এবং দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর আক্রমণ।
কেজরিওয়াল আরও জানিয়েছেন যে, এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করবে তাঁর সরকার। কেজরিওয়াল মনে করছেন, ইচ্ছে করেই শুক্রবার শেষ মুহূর্তে এই অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। কারণ ওই দিনই সুপ্রিম কোর্টে গরমের ছুটি শুরু হয়েছে। সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হলে, সর্বোচ্চ আদালত সেই অধ্যাদেশটি বাতিল করে দেবে জেনেই কোর্ট বন্ধ থাকার সুযোগে এটি আনা হয়েছে।
যদিও রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছেন, এই ইস্যুতে বিরোধী নেতা নেত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাতের মাধ্যমে ২০২৪-এর আগে একটি বিরোধী ঐক্যের ছবিও তুলে ধরতে চাইছেন কেজরিওয়াল। আর সেই সেই বিরোধী ঐক্যের ছবিতে খুব সুকৌশলে বাদ দিচ্ছেন কংগ্রেসকে। সেক্ষেত্রে এখন দেখার কেজরিওয়ালের এই সাক্ষাত কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে নতুন কোনও সমীকরণ গড়ে ওঠে কি না।
আরও পড়ুন - ডাবের জলে থাকে ন্যাচারাল সুগার, ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়া উচিত?