Arvind Kejriwal: অবশেষে জেলমুক্তি কেজরিওয়ালের, ৬ মাস পর মিলল স্বস্তি

বিরাট স্বস্তি পেলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শুক্রবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জামিন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল কেজরিওয়ালকে। ৬ মাস পর জেলমুক্তি হচ্ছে কেজরিওয়ালের। 

Advertisement
অবশেষে জেলমুক্তি কেজরিওয়ালের, ৬ মাস পর মিলল স্বস্তিঅরবিন্দ কেজরিওয়াল।
হাইলাইটস
  • বিরাট স্বস্তি পেলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
  • শুক্রবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জামিন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট।
  • আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল কেজরিওয়ালকে।

বিরাট স্বস্তি পেলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শুক্রবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জামিন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল কেজরিওয়ালকে। ৬ মাস পর জেলমুক্তি হচ্ছে কেজরিওয়ালের। 

 সামনেই হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে কেজরিওয়াল জামিন পাওয়ায় সে রাজ্যে আপ শিবিরের জন্য বড় স্বস্তি বলে মনে করা হচ্ছে। আপ নেতা মণীশ সিসোদিয়া বলেছেন, 'সত্যের জয় হয়েছে। মিথ্যার পর্দাফাঁস হয়েছে।'

গত ২১ মার্চ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করে ইডি। আবগারি মামলায় গত ২৬ জুন কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সেই সময় ইডির হেফাজতে ছিলেন তিনি। গত ১২ জুলাই ইডির মামলায় সুপ্রিম কোর্টে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছিলেন কেজরিওয়াল। তবে সিবিআই গ্রেফতার করায়, তাঁকে তিহাড় জেলে থাকতে হয়েছিল। অবশেষে প্রায় ৬ মাস পর জেল থেকে ছাড়া পেতে চলেছেন কেজরিওয়াল। 

লোকসভা নির্বাচনের আগে কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি। ভোটের আবহে গত মে মাসে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। গত ২ জুন ফের জেলে ফিরতে হয় কেজরিওয়ালকে। গ্রেফতারির পর কেজরিওয়াল বলেছিলেন, 'প্রয়োজনে জেল থেকে সরকার চালাব।'  তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন কেজরিওয়াল। প্রধানমন্ত্রীকে সেই সময় নিশানা করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।তিনি বলেছিলেন, 'উনি যা করছেন, তা দেশের জন্য ভাল নয়।' ইডির হেফাজত প্রসঙ্গে কেজরিওয়াল বলেছিলেন, 'যতদিন চায় ইডি আমায় হেফাজতে রাখতে পারে। কিন্তু এটা দুর্নীতি। ইডির দু'টো উদ্দেশ্য রয়েছে। একটা হল আম আদমি পার্টিকে শেষ করা এবং আর একটি হল তোলাবাজির চক্র চালিয়ে টাকা তোলা।' কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তাঁর স্ত্রী সুনীতা বলেছিলেন, 'অরবিন্দ কেজরিওয়াল একজন সিংহ... তাঁকে বেশি দিন আটকে রাখা যাবে না'।

অন্য দিকে, লোকসভা নির্বাচনের আগে কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি জাতীয় রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডলে মমতা লিখেছিলেন, 'অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সুনীতার (কেজরিওয়ালের স্ত্রী) সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে কথা বলেছি। পাশে থাকার বার্তা দিয়েছি।' মুখ্যমন্ত্রী আরও লিখেছিলেন যে, বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীদের নিশানা করা হচ্ছে। অথচ, সিবিআই-ইডির তদন্তে যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁরা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর নিজেদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এটা গণতন্ত্রের উপর নির্মম আঘাত।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement