Asaduddin Owaisi : '৭১-এর পর ভারতে যেসব বাংলাদেশিদের আসতে দেওয়া হয়েছিল, তাদের অনুপ্রবেশকারী কেন বলা হচ্ছে?', প্রশ্ন ওয়েইসির

ভারতে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ বাড়ছে। বারবার এই অভিযোগ শোনা যায় বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীদের মুখে। তাঁরা দাবি করেন, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা বাড়ছে।

Advertisement
'৭১-এর পর ভারতে যেসব বাংলাদেশিদের আসতে দেওয়া হয়েছিল, তাদের অনুপ্রবেশকারী কেন বলা হচ্ছে?'Asaduddin Owaisi
হাইলাইটস
  • বাংলাদেশিদের বিষয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে আক্রমণ করেন ওয়েইসি
  • '৭১-এর পর ভারতে যেসব বাংলাদেশিদের আসতে দেওয়া হয়েছিল, তাদের অনুপ্রবেশকারী কেন বলা হচ্ছে?', প্রশ্ন ওয়েইসির

ভারতে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ বাড়ছে। বারবার এই অভিযোগ শোনা যায় বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীদের মুখে। তাঁরা দাবি করেন, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা বাড়ছে। গত কয়েক মাসে দিল্লি থেকেও একাধিক বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সামনেই বিহার নির্বাচন। আর তার আগে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনের যে নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা, তা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। তার সমালোচনা করতে গিয়ে বাংলাদেশি ইস্যুতে মুখ খুললেন মিম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।      

আসাদউদ্দিন অনুপ্রবেশ এবং বাংলাদেশিদের বিষয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন,'বিজেপি এবং আরএসএস মিথ্যা প্রচার করছে। তারা বলছে, বাংলাদেশিরা ভারতে অনুপ্রবেশ করছে। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর ভারত যাদের আসতে দেওয়া হয়েছিল, তারা আজ কীভাবে অনুপ্রবেশকারী হয়ে উঠল?' 

ওয়েসির আরও প্রশ্ন, 'যদি কোনও অনুপ্রবেশকারী থাকে, তাহলে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তাদের ভোট দেওয়ার অনুমতি কেন দেওয়া হয়েছিল? তখনই সতর্কতা অবলম্বন করতে পারত নির্বাচন কমিশন। কিন্ত সেটা তো করেনি।' তিনি আরও জানান, অন্য বিরোধী দলগুলির সঙ্গে বসে এই বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন। প্রয়োজনে আদালতেও যেতে পারেন। 

সোমবার মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি এই বিষয়ে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের অফিসে যান। ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনকে কমিশনের তাড়াহুড়ো করে নেওয়া সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেন। বলেন, 'যদি ১৫-২০ শতাংশ লোককে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়, তাহলে সেই ব্যক্তিরা নাগরিকত্বও  হারাবেন।' 
একইসঙ্গে যোগ করেন, 'আমরা সংশোধনের বিরুদ্ধে নই, তবে সময় দেওয়া উচিত। ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়া মানে জীবিকাও হারাবেন সেই ব্যক্তি। তাই নির্বাচন কমিশনের সময় নিয়ে বিষয়টা দেখা উচিত। এত অল্প সময়ে সব কাজ সম্পন্ন হবে না।' 

ওয়েইসি কমিশনের কর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর জানান, নির্বাচন সংক্রান্ত বাস্তব সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে। বিহারে এই মুহূর্তে বৃষ্টি হচ্ছে। গরিব মানুষের কাছে কোনও নথিপত্র নেই। নির্বাচন কমিশনের কাছে শেষ তারিখ বাড়ানোর দাবি করা হয়েছে। 
 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement