আরেক শিষ্যাকেও ধর্ষণে দোষী, আশারাম বাপুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

এক শিষ্যাকে ধর্ষণের মামলায় ইতিমধ্যেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করছেন জোধপুর জেলে। এর মধ্যেই অন্য এক শিষ্যাকে ধর্ষণের দায়েও যাবজ্জীবন হল স্বঘোষিত গুরু আসারাম বাপুর। ২০১৩ সালের একটি ধর্ষণের ঘটনায় তাঁকে এই সাজা দিল গুজরাতের গান্ধীনগরের দায়রা আদালত।

Advertisement
আরেক শিষ্যাকেও ধর্ষণে দোষী, আশারাম বাপুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডআশারাম বাপু।
হাইলাইটস
  • এক শিষ্যাকে ধর্ষণের মামলায় ইতিমধ্যেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করছেন জোধপুর জেলে।
  • এর মধ্যেই অন্য এক শিষ্যাকে ধর্ষণের দায়েও যাবজ্জীবন হল স্বঘোষিত গুরু আসারাম বাপুর।

এক শিষ্যাকে ধর্ষণের মামলায় ইতিমধ্যেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করছেন জোধপুর জেলে। এর মধ্যেই অন্য এক শিষ্যাকে ধর্ষণের দায়েও যাবজ্জীবন হল স্বঘোষিত গুরু আসারাম বাপুর। ২০১৩ সালের একটি ধর্ষণের ঘটনায় তাঁকে এই সাজা দিল গুজরাতের গান্ধীনগরের দায়রা আদালত। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে আসারামকে। ২০২৮ সালে একটি আলাদা যৌন নিপীড়নের মামলায় রাজস্থানের একটি আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। 

২০২৩ সালে রাজস্থানের এক মহিলাকে ধর্ষণের জন্য আসারাম বাপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আসারামের বিরুদ্ধে ১৯৯৭ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। তখন তিনি আহমেদাবাদের আশ্রমে থাকতেন। 

আসারামের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরকারী মহিলা অভিযোগ করেছিলেন যে, তাঁকে আশ্রমে স্বঘোষিত বছরের পর বছর ধর্ষণ করেছে। তদন্তে ৬৮ জনের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। এই মামলার তদন্তকারী অফিসার দিব্যা রাভিয়াও তদন্ত চলাকালীন একাধিকবার প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছিলেন। আসারামের স্ত্রী লক্ষ্মী, কন্যা ভারতী এবং চার মহিলা অনুগামী, ধ্রুববেন, নির্মলা, জাসি এবং মীরা -কেও অভিযুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু গান্ধীনগর আদালতে তাঁরা বেকসুর খালাস পান।

৮১ বছরের আসারাম এখন জোধপুর জেলে। সেখান থেকে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে শুনানিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন আসারামের স্ত্রী। তিনি অসুস্থ হয়ে সুরতের হাসপাতালে ভর্তি। তাই দায়রা আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। আসারামের মেয়েও সময়মতো পৌঁছতে পারেননি আদালতে। ফলে সাজা ঘোষণার জন্য মঙ্গলবার কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় দায়রা বিচারক ডিকে সোনিকে।

এফআইআরে বলা হয়েছিল, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে ওই শিষ্যাকে একাধিক বার ধর্ষণ করেছিলেন আসারাম। আমদাবাদ শহরের উপকণ্ঠে তাঁরই আশ্রমে থাকতেন নির্যাতিতা। সোমবার সরকারি আইনজীবী বলেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ২(সি) (ধর্ষণ), ৩৭৭ (অস্বাভাবিক অপরাধ) ধারায় আসারামকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন-'যা ইচ্ছা তাই করব', আফতাবকে বলেছিলেন শ্রদ্ধা, কী ঘটেছিল খুনের দিন ?

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement