রেলের লোকো পাইলটদের নিয়ে লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর যাবতীয় অভিযোগ খণ্ডন করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তাঁর কথায়,'লোকো পাইলটরা রেল পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। বিরোধীরা অপপ্রচার চালাচ্ছে। লোকো পাইলটদের মনোবল ভাঙতে মিথ্যা প্রচারের আশ্রয় নিচ্ছে ওরা'। লোকো পাইলটদের সুযোগ-সুবিধা দিতে সরকার কী পদক্ষেপ করেছে, তার ফিরিস্তিও দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য,লোকো পাইলটদের কাজের সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। যথাযথ বিশ্রামও পান তাঁরা। চলতি বছরের জুনেই কাজের সময় ছিল আট ঘণ্টার কম। শুধুমাত্র খুব জরুরি পরিস্থিতিতেই কাজের সময় বাড়ানো হয়।
রেল চালকদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। তিনি জানান,'লোকো পাইলটরা লোকো ক্যাব থেকে কাজ করেন। ২০১৪ সালের আগে এই ক্যাবগুলির অবস্থা খুব খারাপ ছিল। কিন্তু ২০১৪ সাল থেকে সেগুলির উন্নতি হয়েছে। সাত হাজারেরও বেশি লোকো ক্যাব এখন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। নতুন লোকোমোটিভগুলি সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত'।
বৈষ্ণব আরও বলেন,'লোকো পাইলটরা ডিউটি শেষ করেই বিশ্রামের জন্য রানিং রুমে চলে যান। ২০১৪ সালের আগে এই রানিং রুমগুলির অবস্থাও তথৈবচ। এখন প্রায় সব রানিং রুম শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। বহু রানিং রুমে ফুট ম্যাসাজারও রয়েছে'।
রেলে কর্মী সংকটের অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। সেই অভিযোগও অস্বীকার করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন,'গত কয়েক বছর ধরে রেলে প্রচুর নিয়োগ হয়েছে। ৩৪ হাজার কর্মী নিয়োগ করেছে রেল। আরও ১৮ হাজার কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। রেল পরিবারের মনোবল ক্ষুন্ন করে এমন খবর সফল হবে না। পুরো রেলওয়ে পরিবার একসঙ্গে দেশের সেবা করছে'।
Loco pilots are important members of the railway family. Since there is a lot of misinformation and theatrics by opposition to demotivate our Loco pilots, let me make things very clear;
— Ashwini Vaishnaw (@AshwiniVaishnaw) July 10, 2024
Improved working conditions;
Duty hours of loco pilots are carefully monitored. Rest is…
রেলের লোকো পাইলটদের নিয়ে কী বলেছেন রাহুল গান্ধী?
সম্প্রতি নয়াদিল্লি রেলস্টেশনে লোকো পাইলটদের সঙ্গে দেখা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ এবং বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধী । তিনি লোকো পাইলটদের খোঁজখবর নেন। তাঁদের সমস্যার কথাও শোনেন। এরপরই কংগ্রেস দাবি করেছে, সারা ভারত থেকে প্রায় ৫০ জন লোকো পাইলটের সঙ্গে দেখা করেন রাহুল গান্ধী। তাঁকে সমস্যার কথাও জানিয়েছেন তাঁরা। লোকো পাইলটরা অপর্যাপ্ত বিশ্রাম পান বলে অভিযোগ করেছেন। প্রায়শই পর্যাপ্ত বিরতি ছাড়াই তাঁদের ডিউটি করতে হয়। এতে মানসিক চাপ পড়ে। নষ্ট হয় একাগ্রতা। যা রেল দুর্ঘটনার পিছনে বড় কারণ।