অসমের ধুবুরিতে এখনও সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরেনি। কোনও কোনও এলাকা থমথমে। সেখানে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তা নিয়ে সতর্ক সেই রাজ্যের সরকার। দুর্গাপুজো পর্যন্ত রাতে দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ কার্যকর করলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সাংবাদিকদের সামনে এই ঘোষণা করেন তিনি।
জুন মাসে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরি হয় অসমের ধুবুরিতে। তারপর থেকে কড়া নিরাপত্তা সেখানে। সেই বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, 'সরকার ধুবুরি এবং দক্ষিণ সালমারাকে স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। অন্য জেলায় কোনও সমস্যা নেই। সীমান্তবর্তী হওয়ায় ওই দুই এলাকায় বিশেষভাবে নজরদারি চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি, ধুবুরির অনেক মানুষকে বাংলাদেশ থেকে ফোন করা হয়েছে। তার উপরও কড়া নজর রাখা হচ্ছে। দুর্গাপুজোর সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এর আগেই দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলাম। তা এখনও বাতিল করা হয়নি।'
কে বা কারা ফোন করেছে তা নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে আর তার অগ্রগতি হয়েছে বলেও দাবি করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। জানান, 'পুলিশ এই ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে কে বা কারা ফোন করেছিল। জেএনবির সঙ্গে যুক্ত আলি হুসেন বেপারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের মতে, সেই বাংলাদেশের সঙ্গে ফোন নম্বর শেয়ার করেছিল।'
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বসবাসকারী গ্রামবাসীরা প্রায় হুমকি ফোন পাচ্ছেন। তার বেশিরভাগই বাংলাদেশ থেকে আসছে। এর সঙ্গে মৌলবাদী সংগঠন জামাত-ই-ইসলামির যুক্ত বলে অভিযোগ। এই পরিপ্রেক্ষিতে জোরকদমে তদন্তও শুরু হয়েছ অসম সরকারের তরফে।
অসম সরকারের আশঙ্কা, দুর্গাপুজোর সময় অশান্তি পাকাতে পারে অনুপ্রবেশকারীরা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই কারণেই পুজো পর্যন্ত রাতে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ বহাল রাখলেন হিমন্ত। সূত্রের খবর, ধুবুরি নিয়ে ঘন ঘন খোঁজখবর রাখছেন তিনি নিজে। পুলিশ কঠোর হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। ১৫০-এর বেশি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে সেই গ্রেফতারির সংখ্যা আরও বেড়েছে।