হিমন্ত বিশ্বশর্মা মুসলমানরা তাঁকে পছন্দ করেন না। দাবি করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। ভোট রাজনীতির প্রশ্নে তাঁর উত্তর, তিনি যদি এক লাখ টাকাও দেন তাহলেও মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ তাঁকে ভোট দেবেন না। অ্যাডেন্ডা আজতকের মঞ্চে এই মন্তব্য করেন তিনি।
আসলে বিহারে নির্বাচনে ভোটের সময় ১০ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয় হিমন্তকে। তখনই তিনি দাবি করেন, শুধু টাকা দিয়ে ভোট পাওয়া যায় এটা সত্যি নয়। সেটা হলে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষও বিজেপিকে ভোট দিতেন। তাঁর কথায়, 'আমি এক লাখ টাকা করে দিলেও অসমের একটা বড় অংশের মানুষ আমাকে ভোট দেবেন না। আমি তাদের মিঞা মুসলমান বলি। আমাকে ওঁদেরই অনেকে বলেছেন, আপনি আমাদের অনেক সাহায্য করেছেন। সেজন্য প্রয়োজনে আমি আপনাকে কিডনি দিয়ে দেব। কিন্তু, ভোট দেব না। তাই আমার মনে হয়, ভোট সম্পূর্ণ অন্য জিনিস। একটা আদর্শ, নীতির প্রশ্ন। তাই টাকা দিয়েই শুধু ভোট পাওয়া যায়, এটা খুব সরল ভাবনা।'
মুসলমানরা তাঁর প্রতি কেন বিরক্ত সেই প্রশ্নেরও খোলামেলা জবাব দেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। বলেন, 'আমি তো ওদের জন্য খুব একটা ভালো কাজ করি না। সেজন্য ভোট পাই না। ওরা প্রায় ৩ লাখ একর জঙ্গলের জমি দখল করে রেখেছে। তাদের তো আমি সরিয়ে দিই। জমি দখলমুক্ত করি। অনেকে আছে একাধিক বিয়ে করেন। কেউ একের বেশি বিয়ে করলেই জেলে পাঠাই। সেটা আমার দায়িত্ব। সেই কারণে আমাকে পছন্দ করেন না।'
বহু বিবাহের বিপক্ষে কেন বিল এনেছেন ? তার উত্তরে হিমন্ত জানান, স্বামী যদি একাধিক বিয়ে করে সেটা যে কোনও স্ত্রীর পক্ষে মেনে নেওয়া কঠিন। এই অবস্থায় একজন মহিলাকে যে মানসিক অবস্থার মধ্য়ে দিয়ে যেতে হয়, সেটা তিনিই বোঝেন। মহিলাদের সম্মান দেওয়া প্রয়োজন। সব ধর্মের মানুষের উচিত এটাকে সমর্থন করা। তা না হলে এই সমাজে মহিলারা এগিয়ে যেতে পারবেন না।
একসময় কংগ্রেস করতেন হিমন্ত। পরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীও করে গেরুয়া শিবির। অনেকে অভিযোগ করেন, আর পাঁচজন বিজেপি নেতার থেকেও যেন বড় বিজেপি হিমন্ত। সেই প্রসঙ্গে ওই নেতা জানান, 'আমি যে কংগ্রেস থেকে এসেছি সেটা নিজেও ভুলে গিয়েছি। আমি বিজেপির চেয়েও বেশি বিজেপি নই, হতেও পারি না। তবে আমি একজন ভালো বিজেপির কর্মী হওয়ার চেষ্টা করছি।'