অসমের দারং জেলায় জনতা-পুলিশ সংঘর্ষ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে এক ব্যক্তিকে মৃতদেহের ওপরে বর্বর আচরণ করতে দেখা যাচ্ছে। ভিভিওতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি লাঠি নিয়ে পুলিশে দিকে দৌড়ে যাচ্ছে। এরপর ওই ব্যক্তির বুকে গুলি করে পুলিশ। তাতে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। তারপরেই মৃত ওই ব্যক্তির দেহের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে লাথি ঘুসি মারতে দেখা গেল অপর এক ব্যক্তিকে।
কিন্তু মৃতদেহের ওপর হামলা চালান ওই ব্যক্তি কে? সেই বিষয়ে সরকারিভাবে এখনও কিছু জানান হয়নি। তবে শোনা যাচ্ছে ওই ব্যক্তির নাম বিজয় শঙ্কর বানিয়া। সে দারং-এর জেলা কমিশনারের দফতের কাজ করে। স্থানীয়রা আরও জানাচ্ছেন, ওই ব্যক্তি একজন ফট্রোগ্রাফর। গত বিধানসভা ভোটের সময় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সে জেলায় কাজও করেছিল।
অসমের ডিজিপি ভাস্কর জ্যোতি মহন্ত আজতককে জানান, তিনি ভিডিওটি দেখা মাত্র ওই ফটোগ্রাফারকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন। এই ধরনের কাজ বরদাস্ত করা যায় না। সংঘর্ষে সব মিলিয়ে মোট কতজন আহত হয়েছেন তা এখনও নিশ্চিত করে জানা যাচ্ছে না। তবে পুলিশ জানাচ্ছে, ২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ডিসিপি সহ মোট ১১ পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন।
মৃতদেহের ওপর হামলাকারী ওই ব্যক্তির খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। অন্যদিকে কেউ কেউ আবার পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। তাঁরা বলছেন, যে ব্যক্তিকে গুলি করা হয়েছে তাঁর হাতে শুধুমাত্র লাঠি ছিল। কিন্তু সেখানে প্রচুর পুলিশ কর্মী ছিলেন। ফলে সহজেই ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলা যেত। কিন্তু পুলিশ তা না করে গুলি চালিয়েছে। আর পুলিশের এই পদক্ষেপ নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। এই বিষয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার নিন্দা করার পাশাপাশি এটি দুর্ভাগ্যজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।