Zubeen Garg death case: জুবিন মৃত্যুতে তোলপাড় অসমে, অভিযুক্তদের হয়ে দাঁড়াবেন না কোনও উকিল, কী চলছে?

অসমের জনপ্রিয় গায়ক ও সাংস্কৃতিক আইকন জুবিন গর্গের মৃত্যুকে ঘিরে রাজ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। সিঙ্গাপুরে গায়কের আকস্মিক মৃত্যুর পর জনমনে শোকের আবহের পাশাপাশি উঠে এসেছে দুর্নীতি ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ। এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে উত্তর-পূর্ব ভারত উৎসবের আয়োজক শ্যামকানু মহন্তের নাম।

Advertisement
জুবিন মৃত্যুতে তোলপাড় অসমে, অভিযুক্তদের হয়ে দাঁড়াবেন না কোনও উকিল, কী চলছে?জুবিন গর্গ।-ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • অসমের জনপ্রিয় গায়ক ও সাংস্কৃতিক আইকন জুবিন গর্গের মৃত্যুকে ঘিরে রাজ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে।
  • সিঙ্গাপুরে গায়কের আকস্মিক মৃত্যুর পর জনমনে শোকের আবহের পাশাপাশি উঠে এসেছে দুর্নীতি ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ।

অসমের জনপ্রিয় গায়ক ও সাংস্কৃতিক আইকন জুবিন গর্গের মৃত্যুকে ঘিরে রাজ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। সিঙ্গাপুরে গায়কের আকস্মিক মৃত্যুর পর জনমনে শোকের আবহের পাশাপাশি উঠে এসেছে দুর্নীতি ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ। এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে উত্তর-পূর্ব ভারত উৎসবের আয়োজক শ্যামকানু মহন্তের নাম।

বৃহস্পতিবার গুয়াহাটিতে বিশেষ তদন্ত দল (SIT) এবং সিআইডি যৌথভাবে মহন্তের বাসভবনে তল্লাশি চালায়। তদন্তকারীরা নিশ্চিত করেছেন যে, জুবিন গর্গকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া এবং সেখানকার অনুষ্ঠানের আয়োজনের মূল দায়িত্বে ছিলেন মহন্ত। তাঁর বিরুদ্ধেই ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS), ২০২৩-এর ধারা ৬১(২), ১০৫ এবং ১০৬(১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এই ধারাগুলির মধ্যে-
ধারা ৬১(২) অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত, যেখানে খুন বা গুরুতর অপরাধের পরিকল্পনা প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন বা দীর্ঘমেয়াদি কারাদণ্ড হতে পারে।
ধারা ১০৫ অনুযায়ী, যদি কারও কাজের ফলে মৃত্যু ঘটে কিন্তু সেটি খুন হিসেবে গণ্য না হয়, তাহলেও যাবজ্জীবন বা ৫ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানা হতে পারে।
ধারা ১০৬(১) অবহেলা বা জ্ঞাতসারে জীবন বিপন্ন করার মতো কাজের সঙ্গে যুক্ত। অবহেলার কারণে মৃত্যু হলে এই ধারা প্রযোজ্য হয়, যার সর্বোচ্চ শাস্তি ২ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা।

'অল অসম লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশ'ন ইতিমধ্যেই নৈতিক দায়িত্ববোধের কথা উল্লেখ করে ঘোষণা করেছে যে তারা এই মামলায় অভিযুক্তদের পক্ষে দাঁড়াবে না। সমিতির মতে, এই মামলায় অভিযুক্তদের আইনি সহায়তা প্রদান করা একটি 'ঐতিহাসিক ভুল' হবে।

এদিকে জনসাধারণের দাবির মুখে অসম সরকার ইতিমধ্যেই একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করেছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভকারীরা অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার এবং স্বচ্ছ তদন্তের দাবি তুলেছেন।

অসমের মানুষের কাছে জুবিন গর্গ কেবল একজন গায়ক নন, তিনি ছিলেন সাংস্কৃতিক প্রতীক। তার মৃত্যুতে রাজ্যের শিল্প-সংস্কৃতির জগতে এক অপূরণীয় শূন্যতা তৈরি হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে তদন্তের অগ্রগতি ও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা অসম।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement