
Assam SIR: অসমে ভোটার তালিকার বিশেষ পর্যালোচনার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। এর আগে গত ২৭ অক্টোবর কমিশন আগামী বছরে ভোটের প্রস্তুতির জন্য ১২টি রাজ্যে ভোটার তালিকা পরিশোধনের ঘোষণা করেছিল। কিন্তু তখন আসামের নাম তালিকায় ছিল না। এবার নতুন নির্দেশে জানানো হয়েছে, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এ প্রকাশ পাবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। তালিকা সংশোধনের জন্য নির্ধারিত তারিখ ১ জানুয়ারি ২০২৬।
ভোটার তালিকা সংশোধনের অংশ হিসেবে ২২ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঘরে ঘরে গিয়ে যাচাই করবেন বুথলেভেল অফিসাররা। তাঁদের হাতে থাকবে আগাম পূরণ করা ভোটার তথ্যসহ রেজিস্টার। তা নিয়েই তাঁরা প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে বর্তমান ভোটারের তথ্য মিলিয়ে দেখবেন। প্রশাসনের দাবি, এই প্রক্রিয়া ভোটার তালিকাকে আরও নিখুঁত করবে।
এক নির্বাচনী আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানান, এই পদ্ধতি বিশেষ সারাংশ সংশোধনের উন্নত সংস্করণ। আগের মতো আলাদা এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া হবে না। বদলে ব্যবহার করা হবে পূরণ করা নথি, যাতে ভুলভ্রান্তি ধরা সহজ হবে।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে যাতে ভোটার তালিকা সময়মতো এবং স্বচ্ছভাবে সংশোধন করা যায়। তাঁর দাবি, এতে আসামের ভোটার তালিকা আরও সঠিক ও হালনাগাদ হবে।
খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ পাবে ২৭ ডিসেম্বর, আর তার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংশোধন ও আপত্তি জানাতে পারবেন নাগরিকরা। এরপর ১০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত তালিকা।
ভোটার যাচাইয়ের সময় প্রতিটি পরিবারকে একটি ইউনিট ধরে দেখা হবে। পরিবারের প্রধান বা সংশ্লিষ্ট ভোটারের কাছ থেকেই নেওয়া হবে তথ্য। তবে সন্দেহভাজন ভোটার বা ডি-ভোটারদের জন্য আলাদা নিয়ম থাকবে। তাঁদের তথ্য খসড়া তালিকায় আগের মতোই থাকবে। সংশোধন করা যাবে কেবল বিদেশি ট্রাইব্যুনাল বা আদালতের নির্দেশে।
গত মাসে ছত্তীসগঢ়, গুজরাত, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, পুদুচেরি, আন্দামান-নিকোবরসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বিশেষ সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। এই সব রাজ্যের মধ্যে কিছুতে ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার জানিয়েছেন, আসামের জন্য পৃথক নির্দেশিকা জারি হবে। কারণ আসামে নাগরিকত্ব যাচাইয়ের বিষয়টি আলাদাভাবে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে চলছে। সেই কারণে আগের সর্বভারতীয় সংশোধন নির্দেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে আসামে প্রযোজ্য হয়নি।