বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা অতুল সুভাষের আত্মহত্যার ঘটনায় নয়া মোড়। এবার প্রকাশ্যে এল অতুলের স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়ার করা অভিযোগের বিবরণ। তাঁর সঙ্গে পাশবিক আচরণ করতেন অতুল, মারধরও করতেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন নিকিতা।
প্রসঙ্গত, স্ত্রীর দায়ের করা বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় হয়রানির জেরে অবসাদে অতুল আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ। গত সোমবার অতুলের দেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে ২৪ পাতার সুইসাইড নোট। সেখানে স্ত্রী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন। পুত্রবধূ ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ছেলের উপর অত্যাচারের অভিযোগ করেছেন অতুলের মা-ও। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে নিকিতা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। এই আবহে এবার অতুলের স্ত্রীর অভিযোগের বিবরণ প্রকাশ্যে এল।
কী অভিযোগ নিকিতার?
২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরে অতুলের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নিকিতা। অভিযোগপত্রে নিকিতা উল্লেখ করেছিলেন যে, অতুল তাঁর সঙ্গে 'জন্তুর মতো' আচরণ করতেন। তাঁকে মারধরও করতেন বলে অতুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। অভিযোগপত্রে অতুল, অতুলের বাবা এবং দেওরকে অভিযুক্ত করেছলেন। পণের আইনে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে নিকিতা উল্লেখ করেছেন, অতুল এবং তাঁর পরিবার ১০ লক্ষ টাকা পণ দাবি করেছিলেন। পণের জন্য শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যাচার চালানো হত হলেও অভিযোগ করেছেন নিকিতা। অতুলের পরিবারের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই নাকি ২০১৯ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নিকিতার বাবার মৃত্যু হয়। যদিও সুইসাইড নোটে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অতুল। তিনি লিখেছেন যে, নিকিতার বাবার মৃত্যু হয়েছিল স্ট্রোকের কারণে। ১০ লক্ষ পণের দাবিও মিথ্যা বলে দাবি করেছেন তিনি।
২০১৯ সালে আদতে বিহারের যুবক অতুলের সঙ্গে বিয়ে হয় জৌনপুরের নিকিতার। কর্মসূত্রে তাঁরা বেঙ্গালুরুতে থাকতেন। গত সোমবার অতুলের দেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে ২৪ পাতার সুইসাইড নোট। স্ত্রী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ করে সুইসাইড নোটে উল্লেখ করেছেন অতুল। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশজুড়ে।