Atul Subhash: 'ওরা বিয়ে টেকানোর বিনিময়ে ২০ লক্ষ টাকা চেয়েছিল,' দাবি আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ার অতুলের বাবার

'নিকিতা সিংহানিয়া এবং তার মা সবকিছুই টাকার জন্য করেছে, ওরা আমার ছেলেকে এটিএম হিসাবে ব্যবহার করছিল,' বলছেন সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার অতুল সুভাষের বাবা। সপ্তাহের শুরুতে বেঙ্গালুরুতে আত্মহত্যা করেন অতুল।

Advertisement
'ওরা বিয়ে টেকানোর বিনিময়ে ২০ লক্ষ টাকা চেয়েছিল,' দাবি আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ার অতুলের বাবারঅতুল সুভাষের মৃত্যুর বিচার চেয়ে সরব সোশ্যাল মিডিয়া।

Atul Subhash Suicide Case: 'নিকিতা সিংহানিয়া এবং তার মা সবকিছুই টাকার জন্য করেছে, ওরা আমার ছেলেকে এটিএম হিসাবে ব্যবহার করছিল,' বলছেন সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার অতুল সুভাষের(Atul Subhash) বাবা। সপ্তাহের শুরুতে বেঙ্গালুরুতে আত্মহত্যা করেন অতুল। মৃত্যুর আগে ভিডিওতে নিজের পরিস্থিতি বলে যান। সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। 

৯ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুর বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ৩৪ বছরের অতুলকে। ৯০ মিনিটের একটি ভিডিও এবং ২৪ পৃষ্ঠার একটি সুইসাইড নোট রেখে গিয়েছেন। সেখানে স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়া এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করার জন্য দায়ী করেছেন। এর পাশাপাশি বিচারব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। 

আজতকের সঙ্গে কথা বলার সময়, অতুলের বাবা, পবন মোদী পুরো বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি জানান অতুল এবং নিকিতার মধ্যে চরম বিরোধ ছিল। আর সেটাই তাঁর ছেলের অকাল মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াল।

২০২১ সালে অতুল এবং নিকিতার মধ্যে সবকিছু ঠিক করার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানান তাঁর বাবা৷ লাভ হয়নি। তাঁর কথায়, বিয়ে টেকাতে প্রচুর টাকা-গিফটের দাবি করে নিকিতা ও তার পরিবার। বিয়ে টেকানোর বিনিময়ে ২০ লক্ষ টাকা দাবি করেছিল৷ শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি বেশ কিছু জিনিসও চাওয়া হয়েছিল। অতুলের বাবা জানালেন, 'সেই হাতে লেখা লিস্ট এখনও আমার কাছে আছে।'

অতুলের মৃত্যুর পর, আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে নিকিতাকে হরিয়ানার গুরুগ্রামে গ্রেফতার করা হয়। তার মা নিশা সিংহানিয়া এবং ভাই অনুরাগ সিংহানিয়াকে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ থেকে আটক করা হয়।

অতুলের বাবা জানান, নিকিতা এবং তার মায়ের দাবিগুলি 'অযৌক্তিক' বলে মনে হয়েছিল। প্রথমে ছেলের বিয়ে টেকাতে টাকা-গিফট দিয়ে দেবেন ভাবলেও পরে তাঁদের অন্য উপলব্ধি হয়। তিনি বলেন, 'আমার ছেলের মনে হয়েছিল সে শুধু টাকার জন্যই আছে।'

বিবাহবিচ্ছেদের প্রক্রিয়ার মধ্যেই অতুল কার্যত খরপোশ, ক্ষতিপূরণের দাবিদাওয়ায় জর্জরিত হয়ে যান। আইনি মামলার চাপ, বারবার স্ত্রী-শাশুড়ির প্রকাশ্যে অপমান, লক্ষ-লক্ষ টাকা খরপোশের দাবি আর মেনে নিতে পারেননি অতুল। তাঁর বাবা জানান, 'ওরা আমাদের ৪ বছরের নাতির সঙ্গেও অতুলকে দেখা করতে দিত না। ছেলের জন্মদিনে অতুল উপহার কিনেছিল। কিন্তু সেটাও দিতে দেওয়া হয়নি। এর পর থেকে আমার ছেলে ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছিল।'

Advertisement

পবন মোদী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। তাঁকে নাতির দায়িত্ব প্রদানের আর্জি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে ছেলের ন্যায়বিচার চাইছেন তিনি। 

POST A COMMENT
Advertisement