রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অযোধ্যাধামে মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেছে ভগবান শ্রী রামের দর্শনে। অযোধ্যায় পৌঁছনো হাজার হাজার ভক্ত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মন্দিরে পৌঁছে রামলালার দর্শন পেতে চান। মঙ্গলবার সকাল থেকেই শ্রী রাম জন্মভূমিতে নির্মিত মন্দির দর্শনের জন্য ভক্তদের দীর্ঘ লাইন শুরু হয়েছে।
গভীর রাত থেকেই রাম মন্দিরের মূল ফটকের বাইরে ভক্তদের লম্বা লাইন তৈরি হয়। রাত ২টো থেকে এখানে বিপুল সংখ্যক মানুষ জড়ো হতে থাকে। ভিড়ের মধ্যে উপস্থিত লোকজন গেটের সামনে ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করছে। দেশ-বিদেশ থেকে ভক্তদের জমায়েতের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে অযোধ্যার স্থানীয় বাসিন্দারাও রাম মন্দিরে দর্শন ও পুজোর জন্য পৌঁছে যাচ্ছেন।
#WATCH | Ayodhya, Uttar Pradesh: Heavy rush outside the Ram Temple as devotees throng the temple to offer prayers and have Darshan of Shri Ram Lalla on the first morning after the Pran Pratishtha ceremony pic.twitter.com/gQHInJ5FTz
আরও পড়ুন
— ANI (@ANI) January 23, 2024
হোটেল বুকিং বেড়েছে ৮০ শতাংশ
উল্লেখ্য, রামমন্দির উদ্বোধনের প্রায় ২ সপ্তাহ আগেই অযোধ্যায় হোটেল বুকিং ৮০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। এখানে হোটেলে একদিনের রুমের দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ হারে পৌঁছেছে, যা বেড়েছে পাঁচ গুণ। কিছু বিলাসবহুল কক্ষের ভাড়া বেড়েছে এক লাখ টাকা। বিশেষ বিষয় হল এই ভাড়া বাড়ানো সত্ত্বেও হোটেল বুকিং প্রতিদিনই বাড়ছে।
এদিকে ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার শ্রী রাম মন্দিরে ভগবানের প্রাণ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ৫০০ বছরের অপেক্ষার অবসান হয়েছে। সোমবার, রামলালাকে পূর্ণ আচারের সঙ্গে পবিত্র করা হয়েছে। বিশ্বের কোটি কোটি ভক্ত বছরের পর বছর ধরে এই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এখন রামলালা তার দিব্য ও মহৎ রূপ নিয়ে সবার সামনে এসেছেন। রামলালা পৌরাণিক কাহিনীতে বর্ণিত তার চেহারার উপর ভিত্তি করে অনেক ঐশ্বরিক অলঙ্কার এবং পোশাকে শোভিত হয়েছেন
অধ্যাত্ম রামায়ণ, শ্রীমদ বাল্মীকি রামায়ণ, শ্রী রামচরিতমানস এবং আলাভান্ডার স্তোত্রের গবেষণা ও অধ্যয়নের পরে এবং সেগুলিতে বর্ণিত শ্রী রামের শাস্ত্র-ভিত্তিক সৌন্দর্য অনুসারে রামলালার গয়না তৈরি করা হয়েছে। ভগবান রামের গহনা তৈরিতে ১৫ কেজি সোনা এবং প্রায় ১৮ হাজার হিরা ও পান্না ব্যবহার করা হয়েছে। তিলক, মুকুট, ৪টি নেকলেস, কোমরবন্ধ, দুই জোড়া পায়েল, বিজয় মালা, দুটি আংটিসহ মোট ১৪টি গহনা প্রস্তুত করা হয়েছে। মাত্র ১২ দিনে তৈরি হয়েছে এই গহনা।
লখনউয়ের জুয়েলারি গয়না প্রস্তুত করেছে
এই গয়না তৈরির দায়িত্ব লখনউয়ের হরসাহায়মল শ্যামলাল জুয়েলার্সকে দেওয়া হয়। তথ্য অনুসারে, শ্রী রাম মন্দির ট্রাস্ট প্রায় ১৫ দিন আগে জুয়েলার্সের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। ভগবান সূর্যের প্রতীকটি প্রথম প্রভু রামের মুকুটে তৈরি করা হয়েছিল কারণ ভগবান রাম ছিলেন একজন সূর্যবংশী। রাজকীয় শক্তির প্রতীক পান্নাটি মুকুটের মাঝখানে স্থাপন করা হয়েছে। ভগবান রামের মুকুটটি রাজার পরিবর্তে ৫ বছরের একটি ছেলের পাগড়ি হিসাবে ডিজাইন করা হয়েছে।